
অধিকার পত্র ডটকম ডেক্স :
ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ — গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ যুদ্ধে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ২১ দফা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনায় আসে, এবং ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ ও কূটনৈতিক মহল থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
পরিকল্পনার মূল বিষয়বস্তু
ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই ২১ দফা পরিকল্পনায় যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, সেগুলি হলো:
- গাজায় বন্দি অবস্থায় থাকা সব জিম্মিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া
- স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা
- গাজার প্রশাসনকে হামাসের প্রভাব থেকে মুক্ত করা
- ধাপে ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার শুরু করা
- পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে বর্তমান বিধিবদ্ধ অবস্থা রক্ষা করা
- গাজায় মানবিক সহায়তা অবাধে প্রবেশ নিশ্চিত করা
বর্তমান যুদ্ধবিরতির চ্যালেঞ্জ
যদিও অনেক মধ্যস্থতাকারী দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা শান্তি চেষ্টা চালাচ্ছে, বাস্তবে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার পথে বড় প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে:
- আগের চুক্তিগুলি ইসরায়েল দ্বারা মেনে চলা হয়নি — কাতার স্বীকার করেছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর না হবার বিষয়টি।
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় বলবৎভাবে ভেটো দিয়েছে — এমন অবস্থায় একটি সবল আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।
- গাজার এক দিনে অন্তত ৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন — যুদ্ধাবস্থা এখনও থেমে নেই।
- মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রস্তাব ও আলোচনায় ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত — আলোচনা প্রায়শই ভণ্ডুল হয়ে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের ২১ দফা পরিকল্পনাটি যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে গাজায় কিছুটা স্থিতিশীলতা আনা যেতে পারে। তবে, এটি শুধুমাত্র একটি প্রচেষ্টা — সফল হওয়ার জন্য দরকার সক্রিয় রাজনৈতিক ইচ্ছা, আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং কার্যকর বাস্তবায়ন।
বিশ্বনেতারা ইতিমধ্যে এই পরিকল্পনাকে সমর্থন বা সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনর্বার আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে।
গাজায় দীর্ঘদিনের সংঘাতকে বন্ধ করার জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি নতুন সম্ভাবনার সূচনা হতে পারে। তবে বাস্তব ঘটনাবলির গতি, ইসরায়েলের অবস্থান এবং মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সক্ষমতা — এই সব উপাদান মিলিয়ে হবে এর সফলতা। বর্তমানে যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি স্থাপন করাই সবচেয়ে জরুরি চ্যালেঞ্জ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: