odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 15th November 2025, ১৫th November ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ফিরিস্তির মধ্যে বিরাট গরমিল রয়েছে: মির্জা ফখরুল

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৬ January ২০১৯ ১৯:০৫

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৬ January ২০১৯ ১৯:০৫

স্টাফ রিপোর্টার

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ফিরিস্তির মধ্যে বিরাট রকমের গরমিল রয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে উনি যে ডাক দিয়েছেন তা মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচন আগে তিনি যখন আমাদের সঙ্গে সংলাপ করেছেন, তখন তিনি যে কথাগুলো বলেছিলেন, সেগুলো কি রাখতে পেরেছেন? একটাও রাখতে পারেননি। একইভাবে যেকথাগুলো তিনি বলছেন, তাও কথার কথা। এগুলো তিনি সব সময় বলেন। আমরা তো নির্বাচনের ফলাফলই প্রত্যাখান করেছি। সেখানে নতুন করে শপথ নেওয়া বা সংসদে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না।

আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমি শুনেছি। তার বক্তব্য শুনে আমার মনে হয়েছে তিনি একটা ‘গিল্টি কনসেন্স’ থেকে বক্তব্য দিয়েছেন। কেন জানি তার মনে হয়েছে, নির্বাচনটা ঠিক হয়নি, একটা ব্যাখা দেওয়া প্রয়োজন। সেই ব্যাখাটি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিএনপি কেন ভালো করতে পারলো না, কেন তারা (আওয়ামী লীগ) এতো ভালো করলেন। সাধারণত আমরা কি দেখি? একটা নির্বাচনের পরে এই ধরনের কথা কেউ আনে না। যে প্রতিপক্ষ কেন পরাজিত হলো। উনি বিএনপির ব্যাপারে অনেকগুলো কথা বলেছেন, তার চিন্তা-ভাবনা থেকে। আসল প্রকৃত ঘটনাতে কেন কেউ যেতে চাচ্ছে না। কারণ ভয়ে, মিডিয়াও বলছে না। অন্যান্য সবাইও বলতে ভয় পাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, বিভিন্ন পলিটিক্যাল এরিয়া থেকে যে সমস্ত বক্তব্য এসেছে, যেসব রিপোর্ট এসেছে, তাতে করে প্রমাণিত হয়ে গেছে এই নির্বাচন কোনো নির্বাচনই হয়নি। এটা জাতির সঙ্গে কঠিন তামাশা হয়েছে। যে কথাটি আমরা বারবার বলেছি।

এই নির্বাচন বাংলাদেশের একটি বড় রকমের ক্ষতি করে দিয়েছে দীর্ঘস্থায়ীভাবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই নির্বাচনের ফলে মানুষের নির্বাচন প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে আস্থা চলে গেছে। নির্বাচন কমিশনের ওপর থেকেও আস্থা চলে গেল। এই নির্বাচনের ফলে রাষ্ট্রের ওপর থেকেও আস্থা চলে যাচ্ছে এ জন্য যে রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে। বিভিন্ন এজেন্সিগুলোকেও ব্যবহার করা হয়েছে। সামগ্রকিভাবে জনগণের প্রতিক্ষপ হিসেবে রাষ্ট্রকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেটা আওয়ামী লীগ করেছে।

তিনি বলেন, শুধু আমি নই, দেশের সচেতন মানুষ মনে করে, এই নির্বাচন কোনো নির্বাচনই হয়নি। যে কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও সবদল নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখান করেছে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেছে। সেই নির্বাচনে জনগণ যেন তাদের রায় দিতে পারে, তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: