11/14/2025 নারী ও শিশু নিরাপত্তার দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
odhikarpatra
৮ March ২০২৫ ২৩:০৫
ইবি প্রতিনিধি
জনপরিসরে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মাগুরায় আট বছর বয়সী শিশু আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার (৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় তারা ভবিষ্যতে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় বক্তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে “আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই, মাগুরায় ধর্ষণের অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই, আশ্বাস নয় আইনের বাস্তবায়ন চাই, ফাঁসি চাই, আমি মেয়ে আমি অবহেলিত, ধর্ষক সমাজের ঘুন পোকা আর ধর্ষণ হলো ব্যধি” ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশে একের পর এক ধর্ষণের শিকার হচ্ছে নারীরা। ধর্ষক নামের নরপশুরা শিশুকেও পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে না। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দেখছি না। আমাদের আট বছরের শিশু বোন মাগুরা শহরে ধর্ষণের শিকার। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। একজনকে দৃশ্যমান শাস্তি দিতে পারলে সবাই সচেতন হবে বলে আশাবাদী। বর্তমান সরকার গদিতে বসে এসব কাণ্ডে পদক্ষেপ না নিলে শিক্ষার্থীরা মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, "মাগুরায় ধর্ষনের শিকার শিশু আছিয়া এখনো লাইফ সাপোর্টে আছে। গত ৫ বছরে প্রায় ৬ হাজারের অধিক ধর্ষনের ফাইল ডকুমেন্টস হয়েছে। অতিদ্রুত যদি এসব ধর্ষণের বিচার করা না হয় তাহলে আমরা কঠিন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, "জুলাই বিল্পবের পর প্রথম নারী দিবস দূঃখের সাথে পালন করছি।মাগুরায় যে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে সেখানে অপরাধী কে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা ইবি থেকে ঘোষণা দিতে চাই অন্তর্বতী সরকারকে অতিদ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি স্থাপন করতে না পারি তাহলে জুলাই বিল্পবের স্পিরিট হারিয়ে যাবে এবং এই শক্তি আমাদের বেহাত হয়ে যাবে।মাগুরায় যে ছোট বোন আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়েছে তাকে প্রয়োজন হলে অতিদ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে।এছাড়া বিগত পতিত সরকার বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি তৈরি করেছে সেখান থেকে বের হতে হবে।
মো. সামিউল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
৮ মার্চ, ২০২৫