11/19/2025 হামাসের শর্ত: যুদ্ধ থামলে মুক্তি পাবে জিম্মিরা
odhikarpatra
১৪ April ২০২৫ ২৩:৪৪
গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ হলে এবং একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ বন্দি বিনিময় চুক্তি’ হলে হামাস সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির এক জ্যেষ্ঠ নেতা।
কায়রো থেকে এএফপি জানায়, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় কায়রোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। এই দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
হামাস নেতা তাহের আল-নুনু বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘যুদ্ধ থামানো, গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা হলে আমরা সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি।’
তিনি অভিযোগ করেন, যুদ্ধবিরতির পথরোধ করছে ইসরাইল। ‘এখানে আসল বিষয় জিম্মির সংখ্যা নয়, বরং সমস্যা হলো দখলদাররা (ইসরাইল) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন আটকে দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে,’ বলেন নুনু।
তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে হামাস যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা দাবি করছে।’
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানিয়েছে, সোমবার হামাসের সামনে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হামাস যদি ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের গ্যারান্টিতে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি দুই মাস স্থায়ী হয়েছিল, কিন্তু তা ভেঙে পড়ে।
নতুন যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ জিম্মি সংখ্যা নিয়ে মতপার্থক্যে আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, ইসরাইলের শর্ত অনুযায়ী হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে—এ বিষয়ে তাহের আল-নুনু পরিষ্কারভাবে বলেন, ‘প্রতিরোধের অস্ত্র কোনো আলোচনার বিষয় নয়।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর এই যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরাইলি তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় ১,২১৮ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। সেদিন ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও ৫৮ জন গাজায় আটক আছে, যাদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর ১৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১,৫৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫০,৯৪৪ জনে পৌঁছেছে।