ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্র শিবিরের
আয়োজনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

ঈদুল আজহার আয়োজিত উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবি শিবির সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান।

মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান সকলকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ত্যাগ ও উৎসর্গের মহিমায় উদ্ভাসিত এই ঈদ আমাদের জীবনে ভ্রাতৃত্ব, সাম্য ও সহমর্মিতার বার্তা নিয়ে আসে। এই আনন্দঘন দিনে আমরা আল্লাহ তা'আলার কাছে শুকরিয়া আদায় করি এবং তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করে আত্মত্যাগের মহান শিক্ষা গ্রহণ করি। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইবি শাখা, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা, মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা সব সময় সচেষ্ট। এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে ক্যাম্পাসের আশেপাশে মেসে বা বাসায় অবস্থানরত আমাদের যেসকল প্রিয় শিক্ষার্থীরা পরিবার-পরিজনের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের কথা ভেবেই আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এক আনন্দঘন মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছি। এই আয়োজনটি কেবল একটি ভোজের আয়োজন নয়, এটি আসলে আমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং একাত্মতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা চাই ঈদের এই দিনে যেন কোনো শিক্ষার্থী নিজেকে একা মনে না করেন। সকলে মিলেমিশে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার এক চমৎকার সুযোগ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।আমরা বিশ্বাস করি, এই আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের মাঝে বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে এবং ঈদের প্রকৃত আনন্দ ছড়িয়ে পড়বে সবার মাঝে।

তিনি আরো বলেন, শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীই নয়, আমাদের অমুসলিম ভাই-বোনদের জন্যও আমরা এই আয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি, কারণ আমরা সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।
আমরা সকল ইবিয়ানকে এই মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করার জন্য আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনাদের উপস্থিতি আমাদের এই আয়োজনকে সফল ও প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলের কোরবানি কবুল করুন এবং ঈদকে আমাদের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক।"

মো. সামিউল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া