গত ৫ জুন অনুষ্ঠিত পবিত্র হজ পালন শেষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৩৬ হাজার ৬০১ জন হাজী দেশে ফিরেছেন।

এছাড়াও, আজকের ফ্লাইট সময়সূচি অনুসারে, চারটি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে ১ হাজার ৬৩১ জন হাজী ঢাকায় আসবেন, এতে ৯৭টি ফ্লাইটে হজ শেষে ফিরে আসা মোট হাজীর সংখ্যা হবে ৩৮ হাজার ২৩২ জন।

ঢাকা হজ অফিসের তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত ফিরে আসা মোট হাজীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৩১ হাজার ৫৯৫ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করেছেন।

হজ অফিস জানায়, সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত মোট ৩৬ জন বাংলাদেশি হাজী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ৯ জন মহিলা। মৃতদের মধ্যে ২৩ জন মক্কায়, ১১ জন মদিনায়, একজন জেদ্দায় এবং একজন আরাফাতে মারা গেছেন।

হজ অফিস সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখন পর্যন্ত ৩৬টি ফ্লাইটের মাধ্যমে ১৪ হাজার ১৮২ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছে, অন্যদিকে সৌদি জাতীয় বিমান সংস্থা সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ৩৯টি ফ্লাইটের মাধ্যমে ১৫ হাজার ৪৫৮ জন হজযাত্রীকে ফিরিয়ে এনেছে এবং সৌদি-ভিত্তিক ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ১৮টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৯৬১ জন ফিরে এসেছেন।

তারা আরও জানায়, মোট ৯৩টি ফিরতি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে - বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৩৬টি, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ৩৯টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১৮টি।

সৌদি মেডিকেল সেন্টার ৬০ হাজার ৬৫৮টি স্বয়ংক্রিয় প্রেসক্রিপশন করেছে এবং আইটি হেল্প ডেস্ক ২৩ হাজার ১৯৫ জন হজযাত্রীকে তাদের অবস্থানকালে সেবা প্রদান করেছে।

সৌদি সরকারি হাসপাতালগুলো মোট ২৭০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীকে চিকিৎসা প্রদান করেছে, যাদের মধ্যে ২৫ জন এখনও চিকিৎসাধীন।

এ বছরের হজ কার্যক্রম ২৯ এপ্রিল প্রথম বহির্গামী ফ্লাইটের মাধ্যমে শুরু হয় এবং ৩১ মে শেষ হয়। প্রত্যাবর্তন পর্ব ১০ জুন শুরু হয়েছে এবং ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের সুবিধার্থে ৭০টি হজ এজেন্সিকে অনুমোদন দিয়েছে। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের হজ কোটায় ৫ হাজার ২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১ হাজার ৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছিলেন।

কর্তৃপক্ষ সকল হাজীর নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য চলমান প্রত্যাবাসন এবং স্বাস্থ্যসেবা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে হজ অফিস জানিয়েছে।