অধিকারপত্র ডটকম
গাজা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ওয়াশিংটন/গাজা – ইসরায়েল গাজা শহর এবং গাজা নির্ধারিত এলাকায় দিনভর তীব্র বোমা হামলা অব্যাহত রাখছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি চুক্তি ও যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা নিয়েই আলোচনা করবেন।
হামলা ও মানবিক সঙ্কট
- গাজা সিটির বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণ ও বোমাবর্ষণ সারারাত চলেছে, অনেক শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ সেখানেই পড়ছে নিয়ন্ত্রণহীন ধ্বংসাবশেষের মাঝে।
- স্থানীয় মেডিকেল সূত্র বলেছে, সকালে ও দুপুরে অন্তত ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছে, তার মধ্যে ১৬ জন গাজা সিটির বিভিন্ন আবাসিক এলাকায়।
- যুদ্ধবিরতি ও হোস্টেজ মুক্তির সম্ভাব্য পরিকল্পনা থাকলেও স্থানীয় মানুষের জন্য ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসেবা ক্রমেই কমে যাচ্ছে।
- ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু একটি ২১-পয়েন্ট পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি, বন্দীদের মুক্তি এবং ধাপে ধাপে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
- যদিও ইসরায়েল বলছে “পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়নি”, তবে আন্তর্জাতিক এবং মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক ও মানবিক চাপ তীব্র।
- নেতানিয়াহুর অন্তর্বর্তী রাজনৈতিক জোট (coalition) মধ্যেও যুদ্ধবিরতি ও হোস্টেজ বিষয়ক নীতি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে, যা বৈঠকের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে।
বিপদ:
- অব্যাহত বোমাবর্ষণ ও হুমকিপূর্ণ স্থিতি সাধারণ মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যযাপনকে বিপন্ন করছে।
- যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকলেও তার বাস্তবায়ন ও নিয়ন্ত্রণ কঠিন হতে পারে—ন শুধু হামলা বন্ধ, বরং ত্রাণ পৌঁছানো ও নিরাপত্তা বজায় রাখা জরুরি।
সম্ভাবনা:
- বৈঠকে যদি সত্যিই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা যায়, মানুষের বেঁচে থাকার সুযোগ বাড়বে।
- হোস্টেজ মুক্তি ও ধাপে ধাপে উত্তরণের পথে মানবিক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু হতে পারে যা দীর্ঘস্থায়ী শান্তির দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে।