11/14/2025 ধর্ষণের শিকার নারীর টু ফিঙ্গার পরীক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আজ রায় দিয়েছে হাইকোর্ট
Mahbubur Rohman Polash
১২ April ২০১৮ ১৯:০৮
রায়ে বর্তমানে ধর্ষণের পরীক্ষার জন্য সরকারের করা হেলথ কেয়ার প্রটোকলে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পরীক্ষার সময় ভিকটিমের আত্মীয়, নারী চিকিৎসক, নারী পুলিশ, নারী নার্স রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণ মামলার বিচারকালে আইনজীবী কখনও ভিকটিমকে অমর্যাদাকর প্রশ্ন করতে পারবেন না বলেও উল্লেখ করেছে আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
রিটের পক্ষে আইনজীবীরা জানায়, সনাতন পদ্ধতিতে (দুই আঙ্গুলের মাধ্যমে পরীক্ষা) ধর্ষণের পরীক্ষা করার কারণে অনেক ভিকটিম পরীক্ষা করতে আসেন না। আর এ কারণে অনেকে ধর্ষিত হয়েও বিচার পান না। ভারতে এ পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব¬াস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ এবং ডা. রুচিরা তাবাচ্ছুম ও ডা. মোবারক হোসেন খান রিট আবেদনটি দায়ের করেন। ওই রিটের ওপর জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করে।