11/14/2025 অসম্ভব সম্ভব হলো মাশরাফির সুপারিশে!
Mahbubur Rohman Polash
২৩ January ২০১৯ ২৩:২৯
স্পোর্টস ডেস্ক
নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য আজ বুধবার ঘোষিত জাতীয় দলে দুটি বড় চমক ছিল। সেটা হলো সাব্বির আহমেদ আর তাসকিন আহমেদের অন্তর্ভূক্তি।
বিপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করা তাসকিনের অন্তর্ভূক্তি না হয় মানা গেল; কিন্তু সাব্বির? এই তরুণ হার্ডহিটার বিপিএলে ৮৫ রানের একটা চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছেন; কিন্তু তিনি তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ! তাহলে কীভাবে নিষেধাজ্ঞা কাটার আগেই তাকে জাতীয় দলে নেওয়া হলো? শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বারবার আলোচনায় আসা সাব্বিরের নিষেধাজ্ঞা ছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ পর্যন্ত।
তার আগেই কিউইদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামবে টিম টাইগার। নিষেধাজ্ঞার পর গত ছয় মাসে ঘরোয়া ক্রিকেটে চার দিনের ম্যাচ ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মিলিয়ে ২১ ইনিংস খেলেছেন সাব্বির। হাফসেঞ্চুরি করেছেন ৩টি; একটিও সেঞ্চুরি নেই।
কৌতুহল দূর করে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু আজ সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, সাব্বিরের শাস্তি একমাস কমিয়ে দিয়েছে শৃঙ্খলা কমিটি।মিনহাজুল বললেন, 'এটা আমরা দল দেওয়ার আগেই জেনেছি। শৃঙ্খলা কমিটির ব্যাপার। জানুয়ারির ৩১ তারিখের পর থেকে ওকে পাওয়া যাবে। এটা আপনাদেরও বলা হয়নি, ওর শাস্তি এক মাস কমিয়ে আনা হয়েছে। আমরা ওভাবেই চিন্তা করে তাকে নিয়েছি।'
কিন্তু এতটুকু কথায় সাংবাদিকদের মন ভরার কথা নয়। সুতরাং শুরু হলো জেরা। একপর্যায়ে ক্ষেপে গিয়ে নান্নু বললেন, '‘একজন খেলোয়াড় নিয়ে কেন বারবার প্রশ্ন?' কিন্তু সাংবাদিকরা হাল ছাড়ার পাত্র নন। তাই প্রশ্ন উঠল, সাব্বিরের নিষেধাজ্ঞা কেন এক মাস কমানো হলো? ঘরোয়া ক্রিকেটেও বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স নেই, বারবার বিতর্কে জড়ান, শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়ান।
তারপরেও কেন তিনি জাতীয় দলে?অবশেষে মুখ খুলতেই হলো নান্নুকে। তিনি খোলাসা করে বললেন, 'বিষয়টা পরিষ্কার করে দিই...। এটা সম্পূর্ণ আমাদের অধিনায়কের (মাশরাফি) পছন্দের। ও খুব জোরালোভাবে আমাদের কাছে ওকে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এবং আমরা দুজনই এটার পক্ষে একমত হয়েছি। সে এমন একজনকে চাচ্ছে যে লোয়ার মিডল অর্ডারে ফাস্ট বোলারকে সামলাতে পারবে। বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করেই ওকে নেওয়া হয়েছে।
দেখা যাক, অধিনায়ক যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তার ব্যাপারে। আমরাও আশাবাদী সে ফিরে আসবে।'এর আগে জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন তরুণ তারকা নানা ধরণের অপকর্ম করে আলোচনায় এসেছিলেন। অনেকের অপকর্ম প্রকাশ না পেলেও 'ওপেন সিক্রেট' হিসেবে সবাই জানে। জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফিকে বারবার সতীর্থদের এসব অপকর্ম সামলাতে হয়েছে।
গত বছর এক পর্যায়ে তো তিনি বলেই দিয়েছিলেন, আর কারও অপকর্মের জন্য দেনদরবার করতে পারবেন না। তারপরেও সাব্বিরের কাঁধে আবারও নির্ভরতার হাত রাখলেন তিনি। সাব্বির কি পারবেন তার আচরণ পাল্টে অধিনায়কের মান রক্ষা করতে?