বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যবসায়ীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তাই বাণিজ্য উন্নয়নে মেধার কোন বিকল্প নেই। মেধা সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইবিএফবির সভাপতি হুমায়ুন রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের আবাসিক প্রোগাম পরিচালক জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড, ইন্টারন্যাশনাল অরর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন এর চিফ অফ মিশন জিওরজি গিগাউরি বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক ড. এম এ রাজ্জাক।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,প্রতিযোগিতামূলক বিশ^বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। পণ্যের বৈচিত্র আনতে মেধার সঠিক ব্যবহার জরুরী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ই বলেন বাণিজ্যের জন্য আমরা দ্বার খুলে দিবো। দেশে ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে বাংলাদেশ সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিস গুলোকে ডিজিটাল করা হয়েছে। এখন ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে জিএসপি সুবিধা পেতে ব্যবসায়ীগণ নিজেরাই নিজেদের সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন অনলাইনে করা হচ্ছে, জয়েন্ট স্টক কোম্পানির কাজ এখন অনলাইনেই করা হচ্ছে। বিশ^বাণিজ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজীকরণে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
টিপু মুনশি বলেন, বর্তমান সরকারকে বলা হয় ব্যবসা বান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের জন্য সরকার প্রয়োনীয় সবকিছু করবে। গতবছর বাংলাদেশ ৪০ দশমিক ৫৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। এটা ছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ ভাগ।
আগামী ২০২১ সালে দেশের মোট রফতানি ৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।