ঢাকা | বুধবার, ৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

ডায়রিয়া হলে যা করা জরুরি

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা | প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:১৮

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:১৮

ইদানিং ডায়রিয়ার প্রকোপ খুব বেশি বেড়ে গেছে। অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন। কেউ আবার চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাই ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। 

এই অসুখ থেকে তাৎক্ষণিক আরোগ্য লাভ করা যায় না। বরং ধীরে ধীরে স্যালাইন ও পথ্য গ্রহণের মাধ্যমে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ডায়রিয়া হলে কিছু করণীয় উল্লেখ করেছে। চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়রিয়া শুরু হলে কী কী করবেন-
 
>> এক প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে খাবেন।

>> বড়দের (দশ বছরের বেশি) ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর এক গ্লাস (২৫০গ্রাম) পানিতে গুলিয়ে খাবেন।

>> শিশুদের ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর শিশুর যত কেজি ওজন তত চা চামচ বা যতটুকু পায়খানা হয়েছে আনুমানিত ততটুকু স্যালাইন খাওয়াবেন।

>> শিশুর বমি হলে ধীরে ধীরে খাওয়ান, যেমন প্রতি তিন-চার মিনিট পর পর এক চা চামচ করে স্যালাইন খাইয়ে দিন।

>> খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পাশাপাশি দুই বছরের নিচের শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে, কোনোভাবেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না।

>> ছয় মাসের অধিক বয়সী রোগী খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি সব ধরনের খাবার খেতে পারবে। 

>> রোগীকে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার যেমন ডাবের পানি, চিড়ার পানি, স্যুপ ইত্যাদি খাওয়াবেন।

>> রোগীকে কোমল পানীয়, ফলের রস, আঙুর, বেদানা খাওয়াবেন না।

>> ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশুকে প্রতিদিন একটি করে জিংক ট্যাবলেট পানিতে গুলিয়ে দশ দিন খাওয়াবেন।

>> এরপরও রোগীর উন্নতি না হলে বা খারাপ অবস্থা হলে দ্রুত কাছের হাসপাতাল/ স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

ডায়রিয়া থেকে বাঁচার উপায়

>> রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর উন্মুক্ত খাবার খাবেন না।

>> খাবার আগে সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে বিশ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নেবেন।

>> পায়খানা করার পর অথবা শিশুর পায়খানা পরিষ্কার করার পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নেবেন।

>> ফিডারে শিশুকে কিছু খাওয়াবেন না। যদি খাওয়াতেই হয় তবে তার আগে ফোটানো পানি ও বাসন পরিষ্কারের সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন। ফিডারের নিপলের ছিদ্রটিও ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন।

>> পানি ফোটানোর সময় বলক ওঠার পর আরো পাঁচ মিনিট চুলায় রাখুন এবং ঠান্ডা করে পান করুন। পানি ফোটানোর ব্যবস্থা না থাকলে প্রতি তিন লিটার পানিতে একটি পানি-বিশুদ্ধিকরণ ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে পানি নিরাপদ করে নেয়া যেতে পারে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: