ঢাকা | বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

১১ নভেম্বরের পর রাজপথ থাকবে যুবলীগের দখলে:-শেখ পরশ।

odhikar patra | প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২২ ০৪:৪২

odhikar patra
প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২২ ০৪:৪২

মো. আহসানুল ইসলাম আমিন:

১১ নভেম্বরের পর রাজপথ যুবলীগের দখলে থাকবে বলে বলেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা মিছিল সমাবেশ করছেন, যত পারেন করে নেন। কারণ ১১ নভেম্বর যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পর থেকে রাজপথ থাকবে আমাদের দখলে। তখন বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল।

আজ শনিবার সকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ পরশ বলেন, যারা ২১ আগস্ট সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৫জন বিরোধী মতাদর্শী নেতাকর্মীদের হত্যা করে, তারা আবার সমাবেশ করার অধিকার কোন মুখে বলে আমি বুঝি না। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, তারা তো একটা সমাবেশ করতে পেরেছে। তাও তারা নাকে কান্না করে। তাদের আমলে আমাদের কিন্তু সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। আমাদের সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।

শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ৩ নভেম্বর জেলাখানা ভিতর বিনা বিচারে যারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে কালো আইন প্রতিষ্ঠা করে তারা আজকে মানবাধিকার লংঘেনর বক্তৃতা দেয়। ভন্ডামি করার একটা সীমা থাকে,  কিন্তু এদের কোনও লজ্জা নেই। বিএনপি ভণ্ড- প্রতারকদের দল উল্লেখ করে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, তারা শুরু থেকে এদেশের মানুষের সাথে প্রতারণা মিথ্যাচার করে আসছে। জনগণের অধিকার খর্ব করাই তাদের প্রধান কাজ। আজকেও তারা এদেশের সাধারণ মেহনতি মানুষের অধিকার হনন করার জন্য মাঠে নেমেছে। আবারও এদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করতে চায়। অনেক দিন খোলাখোলি দুর্নীতি করতে পারছে না বলে তাদের ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে। 

সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপির সমাবেশ হলে পরিবহণ ধর্মঘট আওয়ামী লীগ দেয় না। এই ধর্মঘট দেন পরিবহণ শ্রমিকরা। কারণ পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা জানে বিএনপি অতীতে আন্দোলন সমাবেশের নামে জ্বালাও পোড়াও করেছে, ভাঙচুর করেছে। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, ১৬৭ জন জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। 

দীর্ঘ ২৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে রংপুর জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সকাল থেকেই যুবলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মাঠে আসে। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এক ডজন নেতা প্রার্থী হয়ে ফেস্টুন, পোস্টার, ব্যানার, তোরণ নির্মাণ করেছেন রংপুর নগরীসহ পুরো জেলায়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, শাজাহান খান, বাণিজ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা টিপু মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সাবেক সংসদ সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: