ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

সিরাজদিখানে শীতকালীন সবজি সবজি চাষাবাদ শুরু।

মো. আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৩০

মো. আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৩০

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে শীতকালীন আগাম সবজি (রবি মৌসুমের) চাষাবাদ শুরু করেছেন চাষিরা।হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকার অন্যতম মাধ্যম শীতকালীন আগাম সবজিকে ঘিরে থাকে এই উপজেলার কৃষকদের সম্ভাবনাময় আয়ের উৎস। এরই মধ্যে সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন অংশে স্থানীয় কৃষকদের আগাম শাক-সবজি চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পাড় করতে দেখা গেছে। তবে সিত্রাংয়ের প্রভাবে এ অঞ্চলে খালে বিলে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে দীর্ঘ জলাবদ্ধতার শঙ্কা করছেন। এতে কৃষিজমিতে মৌসুমী ফসলের চাষাবাদ নিয়ে কৃষকদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফসলী জমিতে পানি বৃদ্ধির কারণে কার্তিক মাসেও যেন বর্ষায় পরিণত হয়েছে। অন্যান্য বছরের এ সময় আগাম ধান চাষাবাদে জমি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বীজতলা তৈরীর কাজে ব্যস্ত থাকার কথা থাকলেও সিত্রাংয়ের প্রভাবে এ অঞ্চলের চিত্র ভিন্ন রূপ নিয়েছে। তবে উপজেলার টানি জমিতে বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুত করতে দেখা যায় স্থানীয় কৃষকদের। এসব জমিতে আগাম লাউ, মিষ্টি কুমড়া, খিরাইসহ অন্যান্য শাক-সবজির বীজ বপণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।তারা বলেন, হঠাৎ বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিলে পানির গভীরতা বেড়েছে। এ অবস্থায় কৃষিতে প্রায় ১ মাসের বিরম্বনার শিকার হবার শঙ্কা রয়েছে।

অন্যাদিকে উপজেলার বালুচর,লতব্দি,বসাইল,কোলা,কেয়াইন,চিত্রকোট,শেখর নগর,রাজানগর,মধ্যপাড়া ইউনিয়নে এলাকার বিভিন্ন চকে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। তারা জানান, এ অঞ্চলের বিভিন্ন খাল-বিল, কালভার্ট-সেতু, জলাশয় যত্রতত্র ভরাট ও দখলের কারণে অনেকাংশে পানি প্রবাহের পথ দিন দিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে এখানকার গুরুত্বপূর্ণ চক/বিলগুলো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বেশির ভাগ জমিই তিন ফসলি। ১০ বছর আগে তিন ফসলি কৃষিজমি ছিল ১৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর। বর্তমানে আছে ১৩ হাজার ৮৩০ হেক্টর। কমে যাওয়া ৬৫০ হেক্টর জমির মাটি কেটে ইটভাটা অথবা বসতবাড়ি তৈরিতে ব্যবহারের জন্য বিক্রি করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: