
খায়রুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল অনুমান ৭ ঘটিকায় নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস আলী মাষ্টারের ৪ বছরের ছেলে আব্দুল মুনিম নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের স্বীকার হয়। উক্ত নৃসংশ হত্যাকান্ডের বিষয়ে তার বাবা মোঃ ইদ্রিস আলী মাষ্টার বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ৩০২/২০১ প্যানাল কোর্টে মামলা দায়ের করে। হত্যা মামলার সূত্র ধরে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেনের নির্দেশনায় পুলিশের তিনটি চৌকশ টিম দিনরাত পরিশ্রম করে ও গোয়েন্দা নিয়োগ করে ব্যপক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত আলামত ও স্থানীয় লোকজনের বক্তব্যের রেশ ধরে হত্যার মূল আসামী ছোট চাঙ্গুইর গ্রামের প্রতিবেশী মোঃ আনসার আলী প্রামানিকের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম (২০) কে সন্দেহভাজন ভাবে থানায় নিয়ে আসে। এরপর ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এক পর্যায়ে সে হত্যাকান্ডের দ্বায় স্বীকার করে। সে তার বক্তব্যে বলে প্রতিবেশী ইদ্রিস মাষ্টারের সাথে তাদের দীর্ঘদিনের মন্বস্তাত্তি¡ক ক্ষোভ বিরাজ করছিল। উক্ত ক্ষোভের কারণে জেদি রাগি ও মানসিক ভাবে অস্থিতিশীল ব্যক্তিত্বের অধিকারী আসামী আমিনুল ইসলাম শিশু মুনিমকে রাস্তায় পড়ে থাকা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে এবং তার লাশ গুম করার জন্য পাশের কূপে ফেলে রাখে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক আসামী আমিনুল (২০)কে গত ১৭ ফেব্রæয়ারি রাত ১০ টায় গ্রেপ্তার করে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত হিসেবে ২ টি রক্তমাখা বাঁশ, ভিকটিমের ব্যবহৃত খেলনা রিকশা, আসামীর ব্যবহৃত রক্তমাখা জামাকাপড় ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অর্ধেক ইট জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১ টায় নন্দীগ্রাম থানায় এই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত পাঠ করেন বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বগুড়া সদর সার্কেল) মোঃ শরাফত ইসলাম। সেখানে তিনি হত্যাকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, নন্দীগ্রাম থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন, কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, নন্দীগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ খায়রুল ইসলাম, থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) খায়রুল ইসলাম, এসআই চাঁন মিয়া, এসআই শারারুল আলম এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: