
মো. হামিদুল ইসলাম লিংকন
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বকে জেরে সম্প্রতি হামলার ঘটনা কেন্দ্র করে হুমকি ও গ্যারেজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওহাব খান গং এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের টোল বাসাইল বটতলা গ্রামে। হামলার ঘটনায় গত ১১ই মার্চ সিরাজদিখান থানায় ৬জনকে বিবাদি করে একটি মামলা ও দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী হুমায়ুন ও মিকাইলের মা রোকেয়া বেগম ৬৫ জানান, আমার শশুরের তিন ছেলে তিন বাড়ি দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখল করে আসছে গত ৭ মার্চ আমাদের ভোগদখলকৃত বাড়িতে আলুগোলা তৈরী করতে গেলে ওহাব খানেবা এসে আলুর গোলা তৈরীতে বাধা দেয়। এবিষয়ে আমার ছেলে মিকাইল খান প্রতিবাদ করলে তার উপর হামলা করে,মিকাইলের ডাকচিৎকারে আমরা এগিয়ে এগে আমাদের ওপর ও আমার ছেলের বউদের উপর হামলা চালায় তারা। এতে আমরা আহত হই এবিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলা করার পরে আসামী পক্ষ আমাদের অটোরিকশা গ্যারেজ খুলতে, দেয়না, গরু-ছাগলের ঘাস কাটতে দিচ্ছে না এবং বিভিন্ন প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
মামালা সূত্রে জানা যায়, মিকাইল খান (৪৮) এর সাথে ওহাব খানদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত ৭মার্চ বিকাল ৫টার দিকে ওহাব খান, সোহরাব খান, মাসুদ খান, সিজান খান, মুরাদ খান ও মামুন ঢালীসহ কয়েকজন মিলে মিকাইল খানের বাড়িতে আসে এবং মিকাইলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন মিকাইল তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ওহাব খানের হুকুমে রাম দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মিকাইলের মাথায় কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ও মুখে আঘাত করে নিচের পাটির দুইটি দাঁতের ফেলে দেয়। তখন তার ভাই হুমায়ূন তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা হুমায়ূনকেও এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে জখম করে। এসময় মিকাইল এর স্ত্রী আফসানা আক্তার মিনু (৩৮) তাদেরকে উদ্ধার করতে গেলে তাকে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে এবং তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনও নিয়ে যায়।
মিকাইলের গ্যারেজের অটোরিকশা চাল জুলহাজ শেখ ও সাহিদ হোসেন ২২ বলেন, আমরা দিন মজুর ওহাব খানের লোকজন আমাদের গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা বের করতে দিতেছে না। তাই এই কয়েকদিন ধরে গাড়ি চালাতে পারছে না কাজ না করলে কি করে খাব।
অভিযুক্ত ওহাব খান বলেন, আমরা ওদের বাসায় মারামারি করতে যাইনি ওরাই আমাদের বাসা থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করছে। গ্যারেজ বন্ধ করে রাখা ও ঘাস কাটতে বাঁধনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি দম্ভ করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুল হক বলেন, বিষয়টিতে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে। বর্তমানে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: