ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

অনলাইনে ট্রেনের টিকিটে আগ্রহী যাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৭ ২০:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০১৭ ২০:২৮

রোববার ছিল ট্রেনের ২৯ আগস্টের টিকিট বিক্রির দিন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর ভোগান্তি এড়াতে অনলাইন টিকেটিং দাবি করেন যাত্রীরা ।
সরেজমনি কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, মোট ২৩টি কাউন্টার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২টি কাউন্টার নারীদের জন্য সংরক্ষিত। কাউন্টারের প্রতিটি লাইনই দীর্ঘ। টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে সিঁড়ি পেরিয়ে বাহিরের দিকেও চলে গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন। এদের মধ্যে অনেকেই গত শনিবার রাত থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনেকে আবার কাকভোরে এসেছেন।
খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের ২৯ আগস্টের টিকিট চান এক যাত্রী। এজন্য তিনি শনিবার রাতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, গত রাতে লাইনে দাঁড়ালেও অতিরিক্ত ভীড়ের কারণে কাউন্টার পর্যন্ত যেতে পারিনি। এভাবে টিকিট কাটা খুবই বিড়ম্বনার। টিকিটের জন্য অফিসও মিস করলাম। যাত্রীদের এমন বিড়াম্বনা এড়াতে সিংগভাগ টিকিটই অনলাইনে দেয়া উচিত। বর্তমানে অনলাইনে ২৫ শতাংশ টিকিট দেয়া হয়, যা খুবই কম। যদি টিকিট অনলাইনে দেয়া হত তাহলে অফিসে বসেই টিকিট কাটতে পারতাম। মানুষকে এতটা ভোগান্তি পোহাতে হত না। লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট প্রত্যাশী জুবায়ের বলেন, দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, সবাই এখন অনলাইনমুখী। কিন্তু রেলওয়ে সেই আগের পন্থাই অবলম্বন করছে। প্রতিবছর অগ্রিম টিকিট পেতে ভোগান্তির শেষ নেই। সাধারণ যাত্রীদের এমন বিড়াম্বনার কথা মাথায় রেখে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অবশ্যই উচিত টিকিটের সিংহভাগ অনলাইনে দেয়া।
জানতে চাইলে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, কমলাপুর থেকে প্রতিদিন ৩১টি ট্রেনের ২২ হাজার ৪৯৬টি টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ অনলাইন, ৫ শতাংশ ভিআইপি, ৫ শতাংশ রেলওয়ে কর্মকর্মতা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ। বাকি ৬৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি হয়। তিনি বলেন, যাত্রীরা সুশৃংঙ্খলভাবে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কিনতে পারছেন। ট্রেন যাত্রায় যাত্রীদের যেন কোনো প্রকার সমস্যা না হয় এবং পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: