
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিফা নুসরাতের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। ৪৮ঘন্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করে ঘেরাও কর্মসূচি সহ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
সোমবার দুপুরে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে বঙ্গবন্ধু চত্বরের সামনে স্থানীয় সাংবাদিক ও জনসাধারণের ব্যানারে এ কর্মসূচি থেকে ইউএনও’র অপসারণের দাবি জানানো হয়। ইউএনওর বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে বখরা আদায়, সরকারি গাড়ী ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, সরকারি নম্বরে দিনভর কল করলেও তিনি রিসিভ করেন না। বাল্য বিয়েসহ নানা বিষয়ে তথ্য দেওয়ার পরও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা না করে তথ্যদাতাকে মামলার বাদি করে পরিচয় প্রকাশ করে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলছেন। থানায় দায়েরকৃত মামলার আলামত ইউএনও কর্তৃক জব্দ করে ব্যক্তিগত আইন সৃষ্টি করছেন। নিজের স্বার্থে মিডিয়া ফোকাস নিতে সাংবাদিকদের ব্যবহারের চেষ্টা ও ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়ে সাংবাদিক নজরুল, জুয়েলসহ একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভাড়াটে বাদি সাজিয়ে মামলা হুমকি, অনুসন্ধান প্রতিবেদনের স্বার্থে অপরাধীর সঙ্গে সাংবাদিকের মোবাইলে কথা বলার অডিও রেকর্ড ছড়ানোর হুমকিসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তৃতায় নন্দীগ্রাম মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল বারীক বলেন, ইউএনও শিফা নুসরাত জনবিচ্ছিন্ন। কতিপয় ব্যক্তিদের মদদে তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে এসি ঘরে বসে তিনি চাঁদাবাজি করেন। সপ্তাহে তিনদিন জেলার বাইরেও সরকারি গাড়ী ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন।
নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম দয়া বলেন, ইউএনওর বিরুদ্ধে গত ২৭মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি। বিষয়টি জানার পর ইউএনও আরো ক্ষিপ্ত হয়েছেন। আমি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক, শাহীন আলম সাজু,আবু সাঈদ, আব্দুল গফুর,মিজানুর রহমান মিজান, নন্দীগ্রাম অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি রাসেল মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, সাংবাদিক তানসেন আলী মন্টু, আনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান মুকুল, সুমন সরকার, হাফছা খাতুন, মজনু রহমান সহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগর চেষ্টা করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুরসাতের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: