
তীব্র গরমে কয়েক দিন ধরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এখন প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে। জ্বর-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, ডায়রিয়া, জন্ডিস ও টায়ফয়েডের রোগী বেশি।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো. শাহেদুর রহমান সোহাগ বলেন, গরমের কারণে বিভিন্ন রোগ নিয়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে রোগী আসছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ শিশুর সর্দি-জ্বর, হাঁপানি। জন্ডিস, টাইফয়েড ও ডায়রিয়ার রোগীও তুলনামূলকভাবে বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, টাইফয়েড, জন্ডিস দুটিই পানিবাহিত রোগ। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে মানুষের কাজকর্ম কিন্তু থেমে নেই। সবাই বাইরে যাচ্ছে। যখনই তেষ্টা পাচ্ছে, দোকান বা হোটেলের পানি, রাস্তার খোলা খাবার, শরবত, আখের রস ইত্যাদি খাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই গরমে এগুলো খাওয়া যাবে না। পানি খেলে অবশ্যই ফোটানো পানি খেতে হবে। গরমে ঘরের খাবারও অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যায়। সেটি খাওয়া যাবে না। একটু টাটকা জিনিস খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বেশি বেশি পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: