ঢাকা | শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

কোরবানির জন্য প্রস্তুত শরীয়তপুরে ৪৬ হাজারের বেশি পশু

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৩ ১৯:৩২

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৩ ১৯:৩২

ডেস্ক নিউজ :

আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে শরীয়তপুরে ৪৬ হাজার ৪৭৩ টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার খামারিরা। কোরবানির ঈদকে উপলক্ষ করে পশু পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও খামারিরা বলছেন এবার জেলার চাহিদা মিটিয়েও জেলার বাইরে পাঠানো সম্ভব হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, জেলায় এবার ৩৭-৩৮ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। জেলায় ছোট-বড় মিলে ৭ হাজার ৫৩৬টি খামারে পশু প্রস্তুত রয়েছে ৪৬ হাজার ৪৭৩ টি। তাই জেলার চাহিদা মিটিয়ে ৮ হাজারেরও বেশি পশু জেলার বাইরের বাজারে বিক্রি করতে পারবে। এদিকে কোরবানির পশু সঠিক পদ্ধতিতে জবাই ও চামড়া ছাড়ানো নিশ্চিতে ২২৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ।

নড়িয়া উপজেলার স্বর্ণখোলা গ্রামের খামারি আব্দুল আজিজ সরদার বলেন, আমার খামারে ৫১টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ টাকা থেকে সর্বনিম্ন  ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। এখনো পর্যন্ত ক্রেতারা বাড়িতে এসে যে দাম দিতে চাচ্ছেন তাতে আমার অনেক লাভ থাকবে।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুবোধ কুমার দাস বাসস’কে বলেন, এ বারের কোরবানির ঈদকে উপলক্ষ করে জেলার ঘিরে আমাদের পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে। জেলার ছোট-বড় মিলে ৭ হাজার ৫৩৬ জন খামারি ৪৬ হাজার ৪৭৩টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। আমার জরিপ অনযায়ী কোরবানির জন্য পশু লাগবে ৩৭-৩৮ হাজার। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত থাকবে। ইতিমধ্যে খামারিরা বেশি দামের আশায় জেলার বাইরে পশু নিতে শুরু করেছেন। জেলায় এখনো পর্যন্ত নির্ধারিত স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ১৭টি পশু হাটের ১৩টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। হাটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে পরবর্তীতে আমরা তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: