
জবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন,সপ্তম নৌবহরের পরাজয়কে আমেরিকান কিসিঞ্জারা মেনে নিতে পারে নাই।আর মেনে নিতে পারে নাই বলেই ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত এবং মুক্তিযুদ্ধের অভ্যন্তরে লুকায়িত পাকিস্তানি এজেন্টরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ছিলেন জিয়াউর রহমান। বর্তমানে তার ছেলে তারেক জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে।
নানক আরো বলেন,আমাদের জাতির পিতাকে যখন হত্যা করা হয় তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ৫৫ বছর ৪ মাস ২৯ দিন। এই ৫৫ বছর ৪ মাস ২৯ দিনের মধ্যে শাসন,শোষক এবং নির্যাতন থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তির লক্ষে এই মহামানব চব্বিশ বছর লড়াই ও সংগ্রাম করেছেন।১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন,১৯৬৬ সালের ছয় দফা,৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান,৭০এর নির্বাচনে যখন বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়েছেন তখন জিয়াউর রহমানকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নাই।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কতৃর্ক আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন এই নেতা।
আলোচনা সভার শুরুতে ১৫’ আগস্টে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।উক্ত আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো:ইব্রাহিম ফরাজীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন,বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে আমরা একুশ বছর মাঠে ময়দানে ঘুরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার,মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ এবং অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আলোর দিশারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।
উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাড. কাজী নজিবুল্লাহ হিরু,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.মো: ইমদাদুল হক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
এছাড়া আলোচনাসভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা, সাংবাদিক প্রতিনিধিবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: