ঢাকা | রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

শ্রমিকদের পরিশ্রমের ন্যায্য পাওনা টাকা দ্রুত পরিশোধের জন্য ড. ইউনূসের প্রতি বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবান

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৪

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৪

আদালতে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইউনূসের মামলাসমূহ প্রসঙ্গে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তিগণের বিবৃতি প্রদান প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে আজ এক যুক্ত-বিবৃতিতে বলেন-

বাংলাদেশের একজন অন্যতম বিশিষ্ট ব্যক্তি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অনুযায়ী তিনি রাষ্ট্রকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেছেন এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদেরকে তাদের পরিশ্রমের ন্যায্য পাওনা শত শত কোটি টাকা পরিশোধ করেননি- এ দুটি অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের দায়েরকৃত মামলা চলমান রয়েছে। তাই মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় দেশ ও বিদেশ থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের কর্তৃক এর প্রতিবাদে বিবৃতি প্রধান করা অনুচিত কাজ হয়েছে। কি কি কারণে ও কারা এই মামলাগুলো দায়ের করেছেন- এ তথ্যগুলো একটু খোঁজ নিয়ে জানলে এই সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ একটি জনসংযোগ সংস্থার ব্যবস্থপনায় এরকম সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গীর বিবৃতিতে সাক্ষর করতেন বলে আমরা মনে করি না।

আমি বিশ্বাস করি যে, সকল সাক্ষ্য-প্রমাণাদি চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই এসব মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া হবে। বিচার চলাকালে এই সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ চাইলে ড.ইউনুস এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার প্রমাণাদি ও আইনি প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা পরীক্ষার জন্য কোন বিশ্বখ্যাত আইন পর্যবেক্ষক ও নিয়োগ করতে পারেন কিংবা বিচার যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তারও দাবি করতে পারেন।কিন্তু তারা এই বিচার কাজ বন্ধ করার কোন দাবি করতে পারেন না। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক ও তাদের সহায়তাকারীদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস অবর্ণনীয় কষ্টে লড়াই করে ৩০ লক্ষ শহিদের মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশে ধনী-গরিব সবাই আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার ভোগ করবে। দেশে-বিদেশের এইসব বুদ্ধিজীবীরা তাদের করা উদ্ভট দাবির মাধ্যমে প্রকান্তরে আমাদের বিচারালয় ও বিচারব্যবস্থাকে অসম্মান করেছেন, যা কোনো বিবেচনাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এই মামলাগুলোর সবকিছু স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তার দেখার জন্য তাদেরকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কারণ এখানে বিচার ব্যবস্থা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশের মানুষ শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পাওনা পরিশোধের নীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা বাংলাদেশের গরিব শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা, দীর্ঘদিন ধরে অপরিশোধিত বিশাল অংকের টাকা টাকা দ্রুত পরিশোধ করে দেওয়ার জন্য ড. ইউনূসের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। কারণ ঔদ্ধত্য দেখিয়ে কিংবা শত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশের অতি নামি পত্রিকায় বিশাল বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার চাইতে গরীব শ্রমিকদের পাওনা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া অনেক বেশি নৈতিক কাজ। 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: