
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের রশুনিয়া গ্রামের শাহজালাল পান কবিরাজের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়েছেন হাজারো মানুষ। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার লোকজনসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, শাহজালাল পান কবিরাজ দীর্ঘদিন যাবৎ সংসারে অশান্তি, স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব, বন্ধ্যাত্ব, পছন্দের মানুষকে পাইয়ে দেওয়া, অবাধ্য সন্তানকে নিয়ন্ত্রণে আনাসহ নানাবিধ সমস্যার সমাধান দিয়ে আসছিলেন। এ কাজে তার কাছে থাকা জ্বিন তাকে সহযোগিতা করে বলে তিনি রোগীদেরকে বোঝাতেন। এসব ক্ষেত্রে তিনি প্রতারণার অংশ হিসাবে প্রতি দিন তার নিজ বাড়িতে আসন বসান। এসময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে যারা আসেন তাদের কারো বাড়িতে শত্রুতাবশত তাবিজ, কারো বাড়িতে পুতুল পুঁতে রাখা আছে এবং এ কারণেই বিভিন্ন সমস্যায় ভূগছেন বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে জ্বিনের সাহায্যে এসব তাবিজ বা পুতুল তুলে এনে সমস্যার সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দেন। এজন্য তিনি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
জ্বিনের আছ ছারাতে ৮/১০ হাজার টাকার মালামাল নেন তিনি। এরপর বাড়ি বন্ধ করার জন্য মোটা অংকের টাকা, তাবিজ দেয়ার জন্য টাকা এবং জনপ্রতি ১২০ টাকা করে নজরানা ফি নেন। কিন্তু জ্বিনের মাধ্যমে তাবিজ-কবজ তুলে আনার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রতারণা। তার প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ এর একাধিক অভিযোগ রয়েছে সিরাজদিখান থানায় ও রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদে। একাধিক নারীর সাথে পরকীয়ার অভিযোগ ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রতি রাতে নারীদের নিয়ে গুরতে দেখা যায় বিভিন্ন স্থানে।
এ বিষয়ে রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ বলেন, শাহজালাল পান কবিরাজ ভন্ড ও প্রতারক, এর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে সিরাজদিখান থানায় ও বিভিন্ন মহলে আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ ভন্ড ও প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ জানান, এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: