
এমএ কাইয়ুম মাইজভান্ডারী(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বাড়ীওয়ালার বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়া ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া এক ছাত্রীর গোসলের দৃশ্য গোপনে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে এবং এতে ভাড়াটিয়া ছাত্রী ও তার মা প্রতিবাদ করায় তাদেরকে ঘরে ঢুকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৫সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার হাসাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মধ্য হাসাড়া আহসানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মৃত জব্বার খানের ছেলে ও বিল্টু খানের ছোট ভাই সোহেল খানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে। এঘটনায় বাড়ির মালিক বিল্টু খান তার ভাড়াটিয়া ছাত্রীসহ তার পরিবারকে চাপের মধ্যে রেখে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৯ বছর যাবৎ মিজান স্ব-পরিবারে মধ্য হাসাড়া এলাকার বিল্টু কানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে গাড়ির গ্যারেজে কাজ করে জীবি নির্বাহ করে। ঘটনার দিন সোমবার দুপুরে ভাড়াটিয়া মিজানের ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে প্রতিদিনের ন্যায় গোসল করতে গেলে অভিযুক্ত সোহেল খান গোপনে লুকিয়ে ঐ ছাত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণের চেষ্টাকালে ছাত্রী দেখে ফেলে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে ঘরে এসে তার মা বিথী আক্তার লায়রাকে জানায়। মা তার মেয়ের মুখের ঘটনা শুনে অভিযুক্ত সোহেলকে গালমন্দ করতে থাকলে সোহেল ভাড়াটিয়ার ঘরে প্রবেশ করে মা মেয়ে মারধর শুরু করে। তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ঘটনাটি বাহিরে প্রকাশ করলে নানা ভয়ভীতিসহ মা মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
স্থানীয়রা আরো জানান, সোহেল খানের স্ত্রী সন্তান থাকাসত্তেও পূর্ব থেকে তার স্বভাব চরিত্র ভালো না। সে ইতিপূর্বে এরকম বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি।
এব্যাপারে ভিকটিমের মা বিথী আক্তার লায়লা বলেন, আপনারা যা শুনছেন তা সত্য। যাহা রটে তাহা অবশ্য কিছু ঘটে এটাই মনে রাখবেন। আমাদের আগামী ১ তারিখের মধ্যে এই বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে।
বাড়ির মালিক বিল্টু খানের স্ত্রী বলেন, আপনারা চলে যান। আমাদের মধ্যে যা ঘটছে তা আমরা মীমাংসা করছি।
এব্যাপারে বাড়ীর মালিক বিল্টু খান এর কাছ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া বিথীকে আমার মেয়ের মত জানি। ঘটনার দিন বিথী তার ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে গোসল খানা থেকে আনতে গেলে ঐ সময় আমার ছোট ভাই সোহেল খান তথায় দাড়িয়ে সিগারেট পান করাবস্থায় তাকে দেখে চিৎকার দেয় এবং দৌড়ে ঘরে এসে ভাই সোহেলকে গালমন্দ করে। পরে সোহেল ভাড়াটিয়ার ঘরে ঢুকে বিথীসহ তার মেয়েকে গালিগালাজ করে। পরে আমি বিষয়টি মীমাংসা করে দেই।
হাসাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ-আলম বলেন, এই ঘটনা আমি লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু কোন পক্ষই আমি মেম্বারা হিসেবে আমার কাছে আসে নাই। তবে কোন বাড়িওয়াল তার ভাড়াটিয়াদের সাথে এমন আচরণ করতে পারে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: