
হাসান মাহমুদ লালমনিরহাট প্রতিনিধি ঃ
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ। আর এই ব্যারাজ রক্ষার লক্ষ্যে নির্মিত হয়েছে ফ্লাড বাইপাস সড়ক। এবারের স্বরণকালের স্বরণীয় বন্যায় তিস্তা ওই বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। আর সেই সাথে সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। শধু তাই নয় সেই সড়কে সৃস্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। দিন যতই যাচ্ছে ততই গর্তগুলো বড় আকার ধারণ করছে। আর এর ফলে প্রতি নিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। সড়কটি দিন দিন মরণফাঁদে পরিনিত হচ্ছে। তা দেখেও না দেখার ভ্যান করছে কর্তৃপক্ষ। সড়কটি সস্কারের জন্য একাধিক বার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তা সংস্কারে আজও নজর দেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। বর্ষা শেষ হয়ে শীতকাল এলেও ফ্লাড বাইপাস এখনো সংস্কার বিহীনভাবে পড়ে আছে। আর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে জনগনের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে।
জানাগেছে, লালমনিরহাটের বুড়িমারী, পাটগ্রাম, বাউরা, বড়খাতা, সানিয়াজান ও দোয়ানীর বাসিন্দাদের রংপুর যাতায়েতের সহজলভ্য এ সড়কটি। বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য রোগী নিয়ে রংপুর হাসপাতালে যাতায়াতের এ সড়কটি ব্যাবহার করে এইএলাকার মানুষজন। ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক পথে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
ইজিবাইকের চালক দুলু মিয়া জানান, এ সড়কে ইজিবাইক চালানো খুবই কঠিন। একটু অমনযোগী হলেই ঘটে দূর্ঘটনা। একই কথা বলেন শফিকুল ইসলাম নামে আর এক বাইক চালক।
এ বিষয়ে গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান ডা. আতিয়ার রহমান জানান, ফ্লাড বাইপাস সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী। ইহা সংস্কারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিকবার তাগিদ দিলেও তা আজও সংস্কার হয়নি।
এ ব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী যান্ত্রিক বিভাগ একেএম শামসুজ্জোহা বলেন, ফ্লাড বাইপাস সড়কটি সংস্কারে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে মেরামত করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: