
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকরা শুধু রুটি রুজির জন্যই কাজ করে না, তারা এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণেরও চিন্তা করে।
তিনি রোববার সন্ধ্যায় খুলনা প্রেসক্লাব লিয়াকত আলী মিলনায়তনে ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কালের কন্ঠেরর সিনিয়র রিপোর্টার গৌরাঙ্গ নন্দী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন। সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশন এ সেমিনারের আয়োজন করে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, আগামীতে এ অঞ্চলের সম্ভাবনার দিকগুলো কিভাবে নতুনভাবে বিকশিত করা যায়, তার পরিকল্পনা নিতে হবে। একসময় খুলনার পাটকলগুলোকে কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্য বিকশিত হয়ে যে উন্নয়নের ধারা তৈরি হয়েছিল তা বিগত সরকারগুলো স্তব্ধ করে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার খুলনার মিলগুলো চালু করায় নতুনভাবে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের ফলে এ অঞ্চলে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি উন্নয়নের সাথে সাথে পরিবেশকেও বিবেচনায় রাখার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পরিবেশ বান্ধব। সরকার সুন্দরবন রক্ষা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মোংলা বন্দরের সচল, খুলনা অঞ্চলে বিমানবন্দরের বাস্তবায়ন, সম্ভাবনাপূর্ণ পাটের বাজার বিকাশ ও হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানীর ফলে জনগণ তার সুফল পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব ওমর ফারুক, বিজেএ’র চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ মধুসুদন মন্ডল, খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফউজ্জামান, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, ট্রিবিউন পত্রিকার সম্পাদক বেগম ফেরদৌসী আলী, প্রেসক্লাব সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু বক্তব্য রাখেন।-খবর বাসসের
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: