
পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পুনঃখননের মাধ্যমে ঢাকার কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খালের প্রাণ প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে। বুড়িগঙ্গা আর শীতলক্ষ্যা নদীর সংযোগ খাল হওয়ায় শুভাঢ্যা খালের গুরুত্ব অপরিসীম।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে আজ সোমবার শুভাঢ্যা খাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা জানান।
উপদেষ্টা এ সময় পুনঃখনন পরবর্তী খালটির প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য এলাকার ওয়ার্ড, মহল্লার জনগণের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং মেকানিজম তৈরির উপর জোর দেন। তিনি বলেন, সরকার যতই কাজ করে দিক না কেন সকল বর্জ্য যদি এ খালে ফেলা হয় তবে শত কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েও কোনো কাজ হবে না। ১৪ দশমিক ২৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ শুভাঢ্যা খাল পুনঃখনন ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ পরিদর্শনের উদ্দেশ্য প্রকল্পের ব্যয়ে যৌক্তিকতা নিরূপণ করা।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, খালটির অনেক জায়গায় নতুন করে খনন করতে হবে, খালের পাড় বাঁধাই করতে হবে। খাল যেন দখল না হয় সেজন্য খালের পাশে হাঁটার রাস্তা তৈরি করা হবে। প্লাস্টিক আর ময়লা-আবর্জনার কারণে খালটির পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা চ্যালেঞ্জিং কাজ। জুনে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ আগামী জুন-জুলাইয়ে শেষ হলে খালের অবয়ব দেখা যাবে বলে তিনি আশা করেন।
ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, খালগুলোর গভীরতা বৃদ্ধি এবং ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে দিলে এবার জলাবদ্ধতা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হবে।
ঢাকা শহরে বৃক্ষরোপণ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরে গাছ লাগানোর জায়গা খুব কম। একটা সমাধান হচ্ছে খালগুলোর পাড়ে গাছ লাগিয়ে দেয়া। বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহের সহায়তায় সিটি কর্পোরেশনগুলো এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি, পানি উন্নয়ন বোর্ড পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. এনায়েত উল্লাহ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পরিকল্পনা মো. মোবাশশেরুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রাফিউজ সাজ্জাদ, নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত-সহ ঢাকা জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: