
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাসহ আরও দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে শুনানি শেষে তাকে আজ এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এসময় গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন আইভী। তার বিরুদ্ধে করা মোট পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটিতে গ্রেফতার দেখানো হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইয়ুম খান বলেন, সাবেক মেয়র আইভীকে কোর্টে আনা হয়নি। কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি। শুনানি শেষে সিদ্ধিরগঞ্জের দুটি মামলায় সাবেক মেয়র আইভীকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচবাংলা ব্যাংকের সামনে রিকশাচালক তুহিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তুহিনের স্ত্রী আলেয়া আক্তার বাদী হয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। অন্যদিকে একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হকার নাদিম বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই পা হাঁটু থেকে কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর নাদিমের বাবা দুলাল হোসেন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করেন। মামলায় শামীম ওসমান ও তার ভাতিজা আজমেরী ওসমান, সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: