
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি অনুমোদন করেছে ইরানের পার্লামেন্ট।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা’র উদ্ধৃতি দিয়ে তেহরান থেকে এএফপি জানায়, উপস্থিত ২১২ জন সদস্যের মধ্যে ১৯১ ভোটে চুক্তিটি অনুমোদন করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এতে আটজন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং তিনজন ভোটদানে বিরত ছিলেন।
এরআগে গত জানুয়ারিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি গত মাসে রাশিয়ার ফেডারেল অ্যাসেম্বলির নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমা অনুমোদন করেছে।
এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরো সুসংহত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুতিন চুক্তিটিকে ‘যুগান্তকারী দলিল’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে পেজেশকিয়ান বলেছেন, এটি ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করবে’।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান ও রাশিয়া সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে। কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলো তেহরানের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ এনেছে, যা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে।
তেহরান বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা সংঘাতের কোনো পক্ষে ছিল না।
রাশিয়া ও ইরান উভয় দেশই পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে এবং তাদের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নীতিগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে সমন্বয় করছে।
ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে পশ্চিমা উদ্বেগ দূর করতে একটি নতুন চুক্তির সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চার দফা আলোচনা করেছে।
উভয়পক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হলেও পরবর্তী দফায় বসার জন্য কোনো তারিখ বা স্থান নির্ধারণ করা হয়নি।
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ওয়াশিংটনের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ উল্লেখ করে বলেছেন, ইরান এখনো পরবর্তী দফার আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে কি-না, তা বিবেচনা করছে।
আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফসহ মার্কিন কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ক্ষমতাকে একটি ‘লাল রেখা’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আরাগচি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ইরান চুক্তিসহ বা চুক্তি ছাড়াই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: