ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শেষ হলো ইবি শিবিরের তিনদিনব্যাপী বিজ্ঞান উৎসব

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৫ ১৩:৪৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৫ ১৩:৪৯

ইবি প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী 'ইসমাইল আল জাযারি বিজ্ঞান উৎসব'-এর শেষ হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে বিজ্ঞান উৎসবের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রতিযোগিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে এ উৎসবের সমাপ্তি হয়।

এ বিজ্ঞান উৎসবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-সহ পাশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন।

গত সোমবার (১৯ মে) "প্রোগ্রামিং কনটেস্ট"- এর মাধ্যমে এর সূচনা হয়। দ্বিতীয় দিন (মঙ্গলবার) "বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড" ও "রুবিক্স কিউব চ্যালেঞ্জ"-এর পাশাপাশি "প্রজেক্ট অ্যান্ড পোস্টার প্রেজেন্টেশন"-এর আয়োজন করা হয়। যেখানে ৫৬টি স্টলে প্রজেক্ট ও পোস্টার প্রদর্শন করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শেষ দিনের মত আজ (বুধবার) প্রজেক্ট ও পোস্টার প্রদর্শনি শেষে বিজয়ীদের মাঝে লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে উপস্থিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতু্ল্লাহ সিবগা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক এইচ এম আবু মুসা ও কেন্দ্রীয় কলেজ ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক শহীদুল ইসলাম।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান, ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী-সহ অন্যান্য সদস্য ও শিক্ষার্থীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, "বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক দিক থেকে পিছিয়ে। আমরা দেখছি তরুনদের অনেকে নেশায় আসক্ত। আবার মাঝে মাঝে অনেক ক্রিয়েটিভ তরুনদের দেখি, যারা এই সমাজকে পরিবর্তন করতে চায়। মুসলমানদের হাত ধরে অনেক ইনভেনশন হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীতে অস্থিরতার অন্যতম কারন বিজ্ঞানের সাথে ধর্মকে আলাদা করে ফেলা। মুসলমানদের হাতে যখন পৃথিবীর নেতৃত্ব ছিল তারা ক্রিয়েটিভ জিনিস আবিষ্কারের পিছনে ছিল। তারা কিন্তু পারমাণবিক বোমা আবিষ্কার করেন নি। তবে মনে রাখতে হবে, মেধাবীরা অনেক সময় দেশ বিক্রিতে  এগিয়ে থাকে। সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করা হয় কিন্তু দেশের দায়িত্বশীলরা কিছুই বলে না। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো হবে, কিন্তু আমাদের উপর দাদাগিরি করতে আসবেন না। মেধাবীরা সঠিক মূল্যায়ন পেলে এই দেশ অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।"

এসময় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, এই বিজ্ঞান উৎসবে অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের প্রতিভা গুলোর বিকাশ ঘটানো এবং দেশের ও জাতির সামনে তুলে ধরা।
আজকের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরাই ভবিষ্যতের ইবনে সীনা, ইসমাইল আল জাযারির মত বিজ্ঞানী হয়ে উঠবে।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে আহ্বান করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কে আধুনিকায়ন করার মতো অনেক প্রজেক্ট এখানে এসেছে। প্রশাসন যদি এ বিষয়টি একটু আমলে নেন তবে স্বল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিকায়ন করা সম্ভব।


মো. সামিউল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: