ঢাকা | শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৫ ২৩:৩৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৫ ২৩:৩৮

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা হতবাক, ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। হার্ভার্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে এবং ম্যাসাচুসেটসের এক ফেডারেল বিচারক সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ কাটেনি।

মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থী জিয়াং ইউরং বলেন, 'আমি খুব ভাগ্যবান যে আমার স্নাতক অনুষ্ঠান নিরাপদে হচ্ছে, তবে আমার জুনিয়রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি গভীরভাবে চিন্তিত।'

পরিসংখ্যান বিভাগের অস্ট্রেলীয় পিএইচডি শিক্ষার্থী জেমস বলেন, 'এটা কোনো স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত নয়। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন সিদ্ধান্ত পাগলামি ছাড়া কিছু নয়।'

হার্ভার্ডের এক কানাডীয় ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষার্থী বলেন, 'আমার রাগ লাগছে, ভয়ও পাচ্ছি। আমি নিজেই কী করব, তা নিয়ে চিন্তিত।'

শুধু শিক্ষাজীবন নয়, ভবিষ্যতে চাকরি ও অভিবাসন পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। মাস্টার্স প্রথম বর্ষের
শিক্ষার্থী লি হাওজিনচুয়ান বলেন, 'কোনো বিকল্প স্কুল আমি খুঁজে পাচ্ছি না। পাবলিক পলিসির দিক থেকে হার্ভার্ডের বিকল্প খুব কমই আছে।'

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, হার্ভার্ডে ‘বামপন্থিদের প্রভাব’ বেড়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি এখন একটি ‘রাজনৈতিক অ্যাডভোকেসি সংগঠনে’ পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, হার্ভার্ড আর স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবে না।

২০২৩ সালের হিসাবে, হার্ভার্ডে ১৪০টির বেশি দেশ থেকে প্রায় ৬,৮০০ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও গবেষক রয়েছে। তাদের অধিকাংশই স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়ন করছেন।

এক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, 'এই সিদ্ধান্ত কেবল প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়, বরং এক বৈরিতার বার্তা — আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আর যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমিক পরিবেশের অংশ নয়, বরং তার রাজনৈতিক স্বার্থে বলি হতে পারে।'

একাধিক শিক্ষার্থীর মতে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হোক বা না হোক, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বৈশ্বিক আস্থায় চিড় ধরেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: