ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে উপভোগ করলেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০১৮ ২৩:৫৪

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০১৮ ২৩:৫৪

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় তাঁর দৈনন্দিন রুটিনের বাইরে হাজার হাজার মানুষের সাথে এক আনন্দোচ্ছ্বল ও অনুপ্রেরণাদায়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা হাজার হাজার মানুষের মাঝে উৎফুল্ল দর্শক হয়ে কয়েক ঘণ্টা এ আনন্দঘন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। দর্শনীয় আতশবাজি ও লেজার শো’য়ের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানকে বর্ণিল শোভাময় করে তোলা হয়। অনুষ্ঠানে লেজার রশ্মির মোহনীয় বর্ণচ্ছটা নগরবাসীর জন্যেও ছিল চোখে দেখার মতো এক স্মরণীয় ঘটনা।
দলে দলে গায়ক, বাদক, নৃত্যশিল্পী ও অন্য পারফরমাররা তাদের মনোমুগ্ধকর শৈল্পিক পরিবেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও হাজার হাজার দর্শককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আরো যারা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তাদের মধ্যে ছিলেন, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তাঁর দুই নাতি।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এ আনন্দময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী রুনা লাইলা, মমতাজ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক, লোক ও পল্লীগীতি এবং নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে।
দর্শনীয় আতশবাজি ও লেজার রশ্মি কিছু মুহূর্তের জন্য দর্শকদের আনন্দ ও উত্তেজনার ভেতর মোহাচ্ছন্ন করে রাখে।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জমকালো এ লেজার শো’তে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এবং একটি দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত জাতি গঠনে দেশের সংগ্রামের ওপর আলোকপাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপলক্ষে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন ভাষণের উল্লেখযোগ্য অংশ বাজানো হয়, যেখানে তিনি দেশবাসীকে সাফল্য সমুন্নত রেখে যে লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদিন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সেই কাক্সিক্ষত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: