ভারতীয় অভিনেত্রী-নির্মাতা নন্দিতা দাস জায়গা করে নিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। তার পরিচালিত ‘মান্টো’ আছে আঁ সার্তেন রিগার্দ বিভাগে নির্বাচিত ১৫টি ছবির তালিকায়। পাকিস্তানি চিন্তাবিদ ও লেখক সাদাত হাসান মান্টোকে ঘিরেই এর গল্প।
২০০৮ সালে ‘ফিরাক’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় আসেন নন্দিতা দাস। ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার এক মাস পরের ঘটনা নিয়ে এর গল্প। এরপর ১০ বছরের বিরতি। ‘মান্টো’ ফিরিয়ে এনেছে পরিচালক নন্দিতাকে।
গত বছরের কান উৎসবে ‘মান্টো’র টিজার উন্মোচন করেছিলেন নন্দিতা। এরও আগে কানে প্রতিযোগিতা বিভাগে বিচারক প্যানেলে কাজ করেছেন তিনি।
‘মান্টো’তে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি। মান্টোর স্ত্রী সাফিয়ার চরিত্রে আছেন রাসিকা দুগ্গাল। মান্টোর বন্ধু ও আরেক চিন্তাবিদ ইসমত চুগাতকে ফুটিয়ে তুলেছেন রাজশ্রী দেশপান্ডে। এছাড়াও স্বল্প উপস্থিতি থাকছে ঋষি কাপুরের। ১৯৪০ সালের বলিউড সুপারস্টার শ্যাম চাড্ডার ভূমিকায় দেখা যাবে ‘মারদানি’র ভিলেন তাহির রাজ ভাসিনকে। শ্যাম ছিলেন মান্টোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তার লেখা অনেক গল্পের অনুপ্রেরণার উৎস এই শ্যাম চাড্ডা।
সবশেষ ২০১৫ সালে আঁ সার্তেন রিগার্দ বিভাগে ভারতের নীরাজ গাইয়ান পরিচালিত ‘মাসান’ স্থান পেয়েছিল। এটি তখন পুরস্কারও জেতে। আঁ সার্তেন রিগার্দকে মূলত নিরীক্ষাধর্মী সাহসী নির্মাণের ক্যানভাস বলা হয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার কিছুক্ষণ আগে টুইটারে নন্দিতা দাস লিখেছেন, “আমরা কানে! আঁ সার্তেন রিগার্দে অফিসিয়াল সিলেকশনে আছে ‘মান্টো’। সব কলাকুশলীর জন্য দারুণ ব্যাপার।”
কান প্রসঙ্গে ৪৮ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এটি সত্যিকার অর্থেই স্বর্গ। সাত বছর ধরে যে ছবির মধ্যে বসবাস করছি, সেই ‘মান্টো’কে সেখানে দর্শকরা কীভাবে নেন তা দেখতে মুখিয়ে আছি।”
এদিকে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি টুইট করেছেন, “সাদাত হাসান মৃত্যুবরণ করে থাকতে পারেন, কিন্তু মান্টো অমর হয়ে থাকবে। আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, এবারের কান উৎসবের আঁ সার্তেন রিগার্দে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘মান্টো’। অভিনন্দন, নন্দিতা দাস ও টিম মান্টো।
”কান উৎসবে এর আগে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকির ‘দ্য লাঞ্চবক্স’, ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’, ‘মিস লাভলি’, ‘লায়ারস ডাইস’ ও ‘রমণ রাঘব ২.০’ ছবিগুলোর প্রদর্শনী হয়েছে বিভিন্ন বিভাগে।
পরে বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে ৪৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা বলেছেন, ‘কান দারুণ একটা উৎসব। বিশ্বের বেশকিছু সেরা ছবি প্রতি বছর সেখানে দেখানো হয়। তাই প্রতিটি প্রদর্শনীই স্পেশাল। ছোটবড় সব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে সম্মান দেওয়া হয় কানে।’