
ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার ভারত সফর শেষে বিকেলে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদেশী শক্তি আমাদের বন্ধু হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে, আমরা তা আশা করি না। আর ভারত অতীতেও আমাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করনি, এবারও করবে না। তাদের অনেক নেতার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বহি:বিশ্বের হস্তক্ষেপ আশা করে না আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক দল। আমরা আজ আছি, কাল না-ও থাকতে পারি। আমাদের ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ। দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না। এ নিয়ে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর করার কিছু নেই। আমরা আশাও করি না। এসব বিষয় আমরাই নির্ধারণ করব।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন পার্টির আমন্ত্রণে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে পার্টি টু পার্টি আলোচনা হয়েছে। আমরা সব ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। সেগুলোর মধ্যে সীমান্তচুক্তির জন্য আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেছে তারা। এই দু’জন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় ছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা আশা করি তিস্তা চুক্তিও হবে। আমাদের পানির জন্য যে হাহাকার আছে তা উপস্থাপন করেছি। এই চুক্তি হলে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, সাংগঠিনক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম ও এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে জেট এয়ারওয়েজ যোগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ওবায়দুল কাদের এর নেতৃত্বাধীন ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: