
আগামীকাল কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষকী উপলক্ষে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, নবজাতক, শিশু ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত উন্নতি হয়েছে। আমাদের এ সকল কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহের কার্যক্রমের সঙ্গে গ্রামীণ জনগণ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সক্রিয় অংশগ্রহণ বৃদ্ধির মাধ্যমে এলাকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মান আরো উন্নত হবে এবং আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পুনরুজ্জীবিত করে এর কার্যক্রম শুরু করি। নতুন করে কয়েক হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আমরা ১৩ হাজার ৮২২ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিয়োগ দিয়েছি। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬৫ কোটির অধিক ভিজিটের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সরকার প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে এবং দেশব্যাপী ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই কর্মসূচির অংশ হিসাবে ১০ হাজার ৭২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসে এ ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: