ঢাকা | শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয় নির্বাচনে, নেএীর কাছে দিক নির্দেশনা চাইলেন, যুবলীগের "চেয়ারম্যান" ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে।

জাতীয় নির্বাচনে, নেএীর কাছে দিক নির্দেশনা চাইলেন, যুবলীগের "চেয়ারম্যান" ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে।

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৩৮

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৩৮

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগেের আজ ৪৬ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয় একটু ভিন্ন ভাবে বরাবরের মতো জাতির পিতার প্রতৃকিতিতে পুস্পমাল্য অর্পন,ও বনানী কবরস্থান দোয়া করলে ও হয়নি বরাবরের মতো বর্নাঢ্য রেলি, এ ব্যাপারে জানাতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি যুব বন্ধু ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে, যুবলীগের চেয়ারম্যান আমাদের নিয়ে গন ভবনে সফল রাসটত্র নায়ক শেখ হাসিনার কাছ থেকে যুবলীগের করনিয় কি এ বিষয়ে দিক নির্দেশনার জন্যে যান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাথে এ বিষয় খোলামেলা আলোচনা করেন, এবং এই সরকারের হাতে করা সোনার বাংলা বিনির্মানে তার লক্ষ্য এবং স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন। সম্রাট আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্র জোরদার এবং অব্যাহত উন্নয়নের স্বার্থে তাঁর সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান করা আমাদের লক্ষ্য। আমি আশা করি অন্যান্য রাজনৈতিক দলও এই নির্বাচনে অংশ নেবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, এটাই বাস্তবতা যে নির্বাচনে অংশ না নিলে একটি রাজনৈতিক দলের শক্তি হারায়। আমরা আশা করি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনে অংশ নেবে এবং এর মাধ্যমে গণতন্ত্র অধিকতর শক্তিশালী ও দেশের আরো উন্নয়ন হবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ পরিচালনা করেন।
এর আগে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতৃবৃন্দ ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
নির্বাচন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার অনেক মেগা প্রকল্প নিয়েছে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের অঙ্গীকার করেছে। যদি আমরা ক্ষমতায় আসতে না পারি তাহলে কেউ এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে না।
তিনি বলেন, আমরা অনেক মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারা চালু করেছি। আমরা দরিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। যদি আমরা আবার ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্যের হার ৪/৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। তখন আমরা বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত বলতে পারবো।

নাইকো মামলায় কেন তার মত শেখ হাসিনাকেও বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না-সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার এমন এক প্রশ্নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারাবন্দি থাকাকালে তদন্তকারিরা তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেত্রীর মন্তব্যের জবাবে আমি বলতে চাই, যখন আমি কারাগারে ছিলাম, তখন তদন্তকারিরা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কিন্তু তারা আমার বিরুদ্ধে কোন কিছু পায়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি যদি নাইকো অথবা অন্যান্য দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকতেন তাহলে তদন্তকারীরা তাঁর বিরুদ্ধে কিছু পেতেন। ‘কিন্তু তারা কোনকিছু পায়নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগকে তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন। অন্যদিকে, একটি কানাডিয়ান ফেডারেল কোর্ট এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগকে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে তা বাতিল করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র, এফবিআই এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা আমার, আমার বোন এবং আমার ছেলে-মেয়েদের দুর্নীতি খুঁজে বের করতে সারাবিশ্বে তদন্ত করেছে। কিন্তু তারা কোথাও কিছু পায়নি।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি সরকার তাঁর বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দিয়েছিল এবং তদন্তও করেছিল, অথচ তদন্ত করে তারা আমার বিরুদ্ধে কিছুই পায়নি। তিনি আরো বলেন, কেয়ারটেকার সরকারও তাঁর এবং তাঁর সন্তান ও বোনের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে। তাদের ব্যাংক হিসেব সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছে। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম পায়নি তারা।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া ও কেয়ারটেকার সরকার এবং সর্বশেষ ড. মুহম্মদ ইউনুসসহ একটি মহলের মদদে বিশ্বব্যাংকও তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করেছে, কিন্তু তারাও কিছুই পায়নি। তিনি বলেন, আমরা কোন অনিয়ম করিনি বলেই তারা কিছু পাইনি।
প্রধানমন্ত্রী লোভ-লালসা ও ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে জাতির সেবা করার জন্য যুবলীগ নেতাদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, যারা ভয়-ভীতিকে জয় করে দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে সক্ষম হবে, জনগণ তাদেরকে বেছে নেবে।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আত্মনিয়োগ করতে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করতে পার, তবে এটি হবে তোমাদের জীবনের বিশাল অর্জন। তিনি বলেন, আনন্দ উপভোগে কোন সাফল্য নেই, বরং আত্মত্যাগের বিনিময়েই সাফল্য আসে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: