
ক্রীড়া,২৮ এপ্রিল(অধিকারপত্র):৬০০ ডাকছে লিওনেল মেসিকে। তবে তার আগেই অনন্য এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। গতকাল রাতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে আগেই টানা অষ্টমবারের মতো ইতালিয়ান সিরি আ’র শিরোপা নিশ্চিত করা জুভেন্টাস। প্রথমে পিছিয়ে পড়া তুরিনের ওল্ড লেডিদের এই ড্র’টা এনে দিয়েছেন রোনালদো। দলের একমাত্র গোলটা করেছেন তিনিই। যে গোলটি তাকে বানিয়ে দিয়েছে ক্লাব ফুটবলে ‘৬০০’ গোলের বিলাসী ক্লাবের সদস্য।
মানে ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে এটা তার ৬০০তম অফিসিয়াল গোল। পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়েও তিনি গোল করেছেন ৮৫টি। মানে শীর্ষ পর্যায়েই তার মোট অফিসিয়াল গোলের সংখ্যা ৬৮৫টি।
ক্লাব ফুটবলে রোনালদো এই ‘৬০০’ অফিসিয়াল গোল করলেন মোট ৮০৩ ম্যাচে। ৪টি ক্লাবের হয়ে। ক্যারিয়ারের শুরুতে স্বদেশি ক্লাব স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩১ ম্যাচে করেছেন ৫টি গোল। এরপর ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ২৯২ ম্যাচে করেছেন ১১৮ গোল।
এরপর ৩৪ বছর বয়সী পর্তুগিজ সুপারস্টার গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। লাস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে মাত্র ৪৩৮ ম্যাচেই করেছেন ৪৫০ গোল। সেটিও মাত্র ৯ মৌসুমে। মানে রিয়ালের হয়ে প্রতি মৌসুমে গড়ে ৫০টি করে গোল করেছেন তিনি। বাকি ২৭টি গোল তিনি করলেন বর্তমান ক্লাব জুভেন্টাসের হয়ে, ৪০।
চিরকালীন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রোনালদো ‘৬০০’ গোল কীর্তি গড়াতেই মেসিকে হারিয়ে দিলেন বটে। কীর্তিটা গড়লেন আগে। তবে আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরও খুব পিছিয়ে নেই। গতকাল রাতে রোনালদোর মতো মেসিও একটা গোল করেছেন। যেটি ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে মেসির ৫৯৮তম অফিসিয়াল গোল। মানে আর মাত্র দুটি গোল হলেই ‘৬০০’ ছুঁয়ে ফেলবেন মেসি।
‘৬০০’-এর কীর্তি না হোক। তবে কাল মেসির গোলটি অনেক বড় এক আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছে ক্লাব বার্সেলোনাকে। তার একমাত্র গোলটিই বার্সেলোনাকে এনে দিয়েছে লা লিগার ২৬তম শিরোপা। কাল ন্যু-ক্যাম্পে লেভান্তেকে ১-০ গোলে হারিয়ে বার্সেলোনা ৩ ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত করেছে ২৬তম লিগ শিরোপা।
গতকাল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী গোল করায় একটা কাকতালীয় ঘটনারও জন্ম দিয়েছেন। স্পেনে মেসি বার্সার শিরোপা নিশ্চিত করা একমাত্র গোলটা করেছেন ম্যাচের ৬২ মিনিটে। বক্সের মধ্য থেকে বাঁ-পায়ের শটে। ইতালিতে রোনালদো তাই করেছেন। ম্যাচের ৬২ মিনিটে জুভেন্টাসের একমাত্র গোলটা তিনি করেছেন বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ-পায়ে! তবে মেসির গোল বার্সাকে জয় এবং শিরোপার আনন্দে ভাসালেও রোনালদোর গোল জুভেন্টাসকে জেতাতে পারেনি। এনে দিয়েছে ড্র।
পিছিয়ে পড়া দলকে সমতা এনে দিয়েছে, সেটিই বা কম কি!
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: