ঢাকা | মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২
তার ও আছে সুস্থভাবে বাচার অধিকার

কিশোর কাবিল হোসেন অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত

odhikar patra | প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০১৯ ০৪:৪৬

odhikar patra
প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০১৯ ০৪:৪৬

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ১২ বছর বয়সী কিশোর কাবিল হোসেন অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত। কাবিলের শরীরে পচন ধরেছে। আস্তে আস্তে তা বিস্তার লাভ করেছে সমস্ত শরীরে। বাবা গিয়াস উদ্দিন ব্যাপারী কিছুদিন চিকিৎসাও করিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আর্থিক সমস্যার কারণে তিনি ছেলের চিকিৎসা করা ছেড়ে দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোনাতলার পাকুল্লা ইউনিয়নের সরলিয়া গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন ব্যাপারী। যমুনা নদীর চরে বাড়ি ছিল তার। আবাদি জমিও ছিল। কিন্তু রাক্ষুসী যমুনা নদী ভেঙে নিয়ে গেছে। এরপর মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর। তার দুই মেয়ে এক ছেলের মধ্যে ছোট একমাত্র ছেলে কাবিল।

কাবিল হোসেন জানায়, স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে কিছুদিন ক্লাস করেছে সে। ক্লাসে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে মিশতো না এবং আলাদা করে রাখতো। এ কারণে বিদ্যালয়ে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে কাবিল। এখন সেই যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাাঁধের উপর সবসময় বসে থাকে।

সে আরও জানায়, তার গরিব বাবার পক্ষে তাকে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তাই সুস্থ হওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে সে। সরকারিভাবে যদি চিকিৎসা করানো হয় তাহলে সে স্বপ্ন দেখবে বাঁচার।

কাবিলের বাবা গিয়াস উদ্দিন ব্যাপারী বলেন, ছোট বেলায় কাবিলের পায়ে একটি দাগ হয়। কোনো পোকামাকড় কামড় দিয়েছে মনে করে গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু আস্তে আস্তে শরীরে চাকার মতো পচন ধরে বাড়তে থাকে। নিজের সাধ্যের মধ্যে কিছু গ্রাম্য চিকিৎসককে দেখিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। ভালো হওয়ার কোনো লক্ষণ না থাকায় চিকিৎসা করা ছেড়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, তার একমাত্র ছেলেকে যদি সরকারিভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে হয়তো সে বাঁচতে পারে। সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ রকম রোগী পাইনি। এখানে আসলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে

জাগোনিউজ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: