ঢাকা | সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

প্রধানমন্ত্রীর পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের আহবান

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৩৫

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৩৫

ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯ মঙ্গলবার  : পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আরো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামীকাল ১৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় মানুষের জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। পাশাপাশি সচেতনতার অভাবে বিভিন্ন অপুষ্টিকর খাবার গ্রহণের কারণে নানা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের দেশীয় মৌসুমি ফলমূল, শাকসবজি ও পরিমাণ মতো প্রাণিজ আমিষ খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য আমাদের পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আরো প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
বিশ্বব্যাপী বিপুল জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত এ দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দেশে দরিদ্র ও অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এখন নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতকল্পে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতাও অনেক বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী করতে কৃষিকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে-এ চেতনাকে অন্তরে ধারণ করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে কারণেই তিনি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কৃষিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ডাক দিয়েছিলেন সবুজ বিপ্ল¬বের। জাতির পিতার দেখানো পথেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সার্বিক কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে কৃষিবান্ধব নীতি ও সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করছে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ১৬ অক্টোবর সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৯’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ, পুষ্টিকর খাদ্যেই হবে আকাক্সিক্ষত ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী’।
তিনি ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৯’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্যের মাধ্যমে পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’

বাসস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: