মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে বিসিআইসি এর ইউনিয়ন ভিত্তিক সার ডিলার নিয়ে অন্য ইউনিয়নে দোকান থাকায় কৃষকের ভোগান্তি শেষ নেই সরকারের নীতিমালা বাস্তবায়ন নিয়ে নেই কোন তদারকি। উপজেলার বয়বাগাদি ইউনিয়ন রায়েরবাগ দাস ট্রেডার্স নামক মালিক দেবব্রত দাস বিসিআইসি ডিলার নিলেও ইউনিয়নে নেই কোন কার্যক্রম।

 

সরজমিনে দেখা যায়, বর্তমান সরকার কৃষকের হাতে সার পৌছে দেয়ার লক্ষে ইউনিয়ন ভিত্তিক ডিলার দিয়েছে। উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নে রায়েরবাগ দাস ট্রেডার্স কে ইউনিয়ন ডিলার দেয়া হয়। দাস ট্রেডার্সকে ডিলার দেয়ার পর থেকে মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজারে ডিলার পয়েন্ট খুলে ব্যবসা করে আসছে। দাস ট্রেডার্সের মালিক দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে অন্য ইউনিয়নের কৃষকদের সুবিধা বেশী দেয়ায় নিজ ইউনিয়নের কৃষকদের সার সংকটের ভোগে। দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে টিএসপি সার বেশী দামে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।

 

বয়রাগাদী ইউনিয়নের কৃষকেরা অভিযোগ করে জানায় আমাদের ইউনিয়নে কোন সার ডিলার নাই। আমাদের তালতলা বাজারসহ আশেপাশের বাজার থেকে সার আনতে হয়। নদী পথে সার আনতে না পারায় এতে করে পরিবহন খরচ অনেক বেরে যায়। সরকার ইউনিয়ন ডিলার দিছে কোন সুবিধা পাই না আমরা।

 

মালখানগর ইউনিয়নের ডিলার জিল্লুর রহমান জানান, ইউনিয়ন ভিত্তিক ডিলার দেয়া হলেও আমার ইউনিয়নে বয়রাগাদী ইউনিয়ন ডিলার খুলে বসে আছে। আমার ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে জানানো হয়েছে।

 

দাস ট্রেডার্সের মালিক দেবব্রত দাস জানায়, বয়রাগাদী ইউনিয়নের কৃষকরা নদী পথে সার নেয়। বয়রাগাদী ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট ভালো না। সে জন্য তালতলা বাজার থেকে সার নেয়। বয়রাগাদী ইউনিয়নে কোন বাজার নাই। তাই তালতলা বাজরের ডিলার পয়েন্ট খুলছি। তালতলা বাজারেও দোকান থাকায় বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা সুবিধা পায়।

 

বয়রাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মো. আলাউদ্দিন জানায়, সরকার কৃষদের হাতের নাগালে সার পৌছে দেয়ার জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক ডিলার দেয়া হয়েছে। কিন্তু বয়রাগাদীর ডিলার তালতলা বাজারে ব্যবসা করছে। আমরা সেখান থেকে সার কিনে আনতে হয়। ডিলার পয়েন্টটি যদি ইউনিয়নের মধ্যে হয় তাহলে গোবরদী, ছোট পাউলদিয়া, বড় পাউলদিয়া, বাহেরঘাটাসহ ইউনিয়নবাসীর সকল কৃষকদের সুবিধা হয়।

 

বয়রাগাদী উপ-সহকারি কৃষি অফিসার নারায়ণ সরকার জানায়, বয়রাগাদী ইউনিয়ন ডিলার পয়েন্ট তালতলা বাজারে। ইউনিয়নের ডিলার পয়েন্ট থাকলে কৃষক সুবিধা পেত।