নিজস্ব প্রতিবেদক :

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ টাকা কেজি দরের চাল প্রদানের কার্ড নবায়ন ও ডাটাবেজ তৈরি বাবদ অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে নারী ইউপি সদস্য হালিমা বেগমের বিরুদ্ধে।

আজ বৃহস্পতিবার( ১ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ন ঘুরে জানাযায়, এই ইউনিয়নের ৬৪৪টি পরিবারকে ওএমএস এর তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এতে রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে  নারী সদস্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি তালিকায় নিবন্ধনে জন্য উপকারভোগীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে নিয়েছে। এছাড়া কার্ডের নাম পরিবর্তনের জন্য ৫শত করে টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

৭ নম্বর ওয়ার্ডের উপকারভোগী আন্না বেগম বলেন, হালিমা মেম্বার আমাদেরকে ন্যায্য মূল্যের সালে কার্ড করে দিবে বলে ১হাজার করে টাকা নিয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উপকারভোগী শিল্পী বেগম বলেন, আমাদের ন্যায্য মূল্যের চাল দেওয়ার কথা বলে হালিমা নাম্বার এক হাজার করে টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে আমাদেরকে সন্ধ্যাবেলা পরিষদে ডেকে নিয়ে যায় কম্পিউটারে এন্ট্রি করার জন্য। আমাদেরকে সারারাত বসিয়ে রেখে ভোর ৪টা বাজে এন্ট্রি কাজ শেষ করে। আমরা ৩/৪শ মানুষ  সারারাত পরিষদে বসছিলাম।

অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্যের হালিমা বেগম বলেন, আমি কারো কাছ থেকে চেয়ে কোন টাকা নেই নেই। কম্পিউটারের কাজ করতে অনেক রাত হয়ে যাওয়াতে উপকারভোগীরই আমাদেরকে কিছু টাকা দিয়েছিল।

রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, কারো কাছ থেকে চেয়ে টাকা নেওয়া হয়নি তারা হয়তো কাজটা দ্রুত করে দেওয়ার জন্য সেচ্ছায় দিয়েছে। এছাড়া সপ্তাহে ১ দিনই বেশি পরিষদে না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এর থেকে বেশী আর কি সময় দিব জনগণকে।

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো .শরিফুল আলম তানভির বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ এ বিষয়ে তালিকা করতে গিয়ে  যদি  কোন ধরনের অনিয়ম ও কেউ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে তদন্ত করে  তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।