05/05/2025 বরিশালে মাদ্রাসার চার শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা
MASUM
১২ আগস্ট ২০১৭ ২১:১০
ছবি : সংগৃহীত
বরিশালের গৌরনদীতে একশ’ টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রী কামরুন নাহার সুমাইয়া (৮)’র মুখে গামছা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগে ৪ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার উপজেলা সদরের খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) মহিলা কওমী মাদ্রাসার ছাত্রী সুমাইয়ার মা ও উপজেলার পশ্চিম শাওরা গ্রামের রেনু বেগম আজ শনিবার দুপুরে এ মামলা দায়ের করেন। মাদ্রাসার শিক্ষিকা হাফিজা বেগমের নাম উল্লেখসহ ৩ জন শিক্ষিকাকে অজ্ঞাত আসামী করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
নির্যাতিতা ওই শিশু ছাত্রীর মা রেনু বেগম জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে মাদ্রাসার এক ছাত্রী গোপনে তাকে ফোন করে জানায় মাদ্রাসার তিন নারী শিক্ষক সুমাইয়াকে গত বৃহস্পতিবার রাতে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। খবর পেয়ে তিনি সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসার আবাসিক হল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তার শিশু কন্যা সুমাইয়াকে উদ্ধার করেন।
এসময় মাদ্রাসার বড় খালামনি (সুপার) তাকে জানায়, অপর এক ছাত্রীর একশ’ টাকা চুরির ঘটনায় সুমাইয়াকে শাসন করা হয়েছে। তবে কোন ছাত্রীর টাকা চুরি হয়েছে তা তিনি (সুপার) বলতে পারেননি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একশ’ টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসার সুপার (বড় খালামনি হিসেবে পরিচিত) ও মেঝ খালামনি এবং বাংলা খালামনি মিলে সুমাইয়ার মুখে গামছা বাঁধে। এরপর বড় খালামনির নির্দেশে মাদ্রাসার আবাসিক হলের মেঝ খালামনি গুনে গুনে তার মেয়েকে ৬০টি ও বাংলা খালামনি ১০০টি বেত্রাঘাত করেছে।
এতে তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরেও তাকে (সুমাইয়া) রাতের খাবার দেয়া হয়নি। খবর পেয়ে তিনি সকাল দশটার দিকে মাদ্রাসার আবাসিক হলে উপস্থিত হয়ে গুরুতর অবস্থায় তার শিশু কন্যা সুমাইয়াকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ৪ জনকে আসামী করে শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে ওসি জানান।