05/12/2025 সিরাজদিখানে বাড়ি ছাড়া একটি পরিবার,ভাংচুর লুটপাট
আহসানুল ইসলাম আমিন
১০ মার্চ ২০২৩ ০৫:১১
নিজস্ব প্রতিবেদিক:
মেয়েদের নিয়ে নেপোলিয়নের ধারণা ছিল নারীরা কেবলই সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র। অথচ সেই নেপোলিয়নই প্রেমে পড়লেন দুই সন্তানের এক জননীর। জোসেফাইন নামের সেই নারী একাই রাজত্ব করে গেছেন নেপোলিয়নের হৃদয়ে। পরবর্তীতে নেপোলিয়ন বিয়ে করেন জোসেফাইনকে। জাত,বংশ,বয়স হিসাব করে ভালোবাসা হয়না । ভালোবাসা তো স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা করে হয়না সব সময়। ভালোবাসার সম্মোহনী শক্তি সব প্রতিকূলতাকেই হার মানায়। সমাজের চোখে যা অসংগতিপূর্ণ, প্রেমের ক্ষেত্রে তা খুব সহজেই আশকারাপায়।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের মো.জামাল হোসেনের ছেলে রাতুল (২২) পাশের বাড়ীর মো.আহসন উল্লাহর ধনীর দুলালী রিয়া মনি (১৭) । রাতুল রিয়ার প্রেম এখন বাড়ী ছাড়া রাতুলের পরিবার । তাদের প্রেম এতোটাই গভীর ছিল যে দুজনে ৪ বার বাড়ি থেকে পালিয়েছেন । কিন্তু তারপরও মেনে নেননি রিয়ার বাবা আহসানউল্লাহ । বাড়ী ঘর ভাঙচুর করে অপহরেনর মাললা করেছে রাতুলের পরিবারের বিরুদ্ধে ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলের বালুচর ইউনিয়নের চর পানিয়া গ্রামের মো.জামাল হোসেনের ছেলের সাথে পাশের বাড়ীর আহসান উল্লাহর মেয়ে রিয়া মনির সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্কে টানে ২০২১ সালে অক্টোবরে রিয়া মনিকে নিয়ে পালিয়ে যায় রাতুল। কিন্তু রিয়া মনির পরিবারের চাপে রাতুলের বাবা ২ দিন পর রিয়া মনিকে তার বাবা আহসান মোল্লার কাছে ফিরিয়ে দেন ।
কিন্তু ভালোবাসার টানে দেড় মাস পর আবার পালিয়ে যান রিয়া-রাতুল । কিন্তু রিয়ার বাবা থানায় অপহরনের অভিযোগ করলে । এবারও রাতুলের বাবা জামাল হোসেন রিয়া-রাতুলকে থানায় হস্তান্তর করেন । পুলিশ রিয়া রাতুলকে কোর্টে পাঠায় । রিয়া কোর্টে জবানবন্দী দেয় রাতুল তাকে অপহরন করেনি ,ভালোবেসে রাতুলের হাত ধওে পালিয়েছেন । কোর্ট রিয়াকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দিলে । প্রায় দুই মাসে আগে রিয়াকে জোড় করে বিয়ে দেওয়া হয় কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা গ্রামের আতাউর রহমেনের ছেলে মোঃ রোহান এর সাথে। গত ২২ শে ফ্রেবুয়ারী ফের স্বামীর ঘর থেকেই পালিয়ে যায় রিয়া তার প্রেমিকা রাতুলের সাথে । তবে এবার শেষ রক্ষা হয়নি রাতুলের পরিবারের । রিয়ার মামা মো.আলমগীর হোসেন লোক বল নিয়ে রাতুলদের বাড়ী ঘর ভাঙচুর লোটপাট করে নিয়েছে সব কিছু ।
এ ঘটনায় রিয়ার বাবা মো.আহসান মোল্লা বাদী হয়ে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন । পুলিশের ভয়ে রাতুল পুরোপরিবার এরখন বাড়ি ছাড়া ।
ভুক্তভোগী রাতুলের বাবা মো.জামাল হোসেন জানান,আহসান উল্লাহ আমার পাশের বাড়ির বড় ভাই। তার মেয়ে রিয়া আমার ছেলের সাথে আগে তিন বার পালিয়ে গেছে আমি নিজে কষ্ট করে চেষ্টা তদবির চালিয়ে মেয়েটিকেতার বাবার কাছে একাধিকবার ফিরিয়ে দেইএবং একবার পুলিশের হাতেও এনে দেই। তার পর তারা মেয়েটিকে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেয়।তাদেও সুবিধার্থে আমি আমার ছেলে সন্তান পরিবার নিয়ে এইসব ঝুট ঝামেলা থেকে দূওে ঢাকা গিয়ে ভাড়া থাকি।বিয়ের পর একদিন আবার রিয়া চলে যায় আমার ছেলের সাথে যার কোন কিছুই আমি জানিনা। তারপর থেকে আমিসহ আমার পরিবারের উপর চলে নির্যাতন।বাড়ি ঘর ভাঙচুর লুটপাটসহ আইনের লোক দিয়েও আমাকে টর্চার করে।আমিসহ আমার পুরো পরিবার এখন বাড়ি ছাড়া। ছেলের কোন খবর নাই।উল্টো রিয়ার বাবা মামারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে মেওে ফেলার।
মামলার বাদী রিয়ার বাবা আহসান উল্লাহ জানান,এবার আমার মেয়ে আমার বাড়িতেই ছিলো তার স্বামীর বাড়ি ছিলোনা,জামালের ছেলে রাতুল আমার মেয়েকে আমার বাড়ি থেকেই নিয়ে গেছে।
সিরাজদিখান থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন বলেন,আমি শোনেছি মেয়েটি একাধিকবার পালিয়ে গিয়েছিল । মেয়ের বাবার বাড়ী লোকজন বাড়ীঘর ভাঙচুরও করেছে ।