05/10/2025 বিকল্প ছাড়াই কুন্ডের বাজার বেইলি ব্রিজ সংস্কার,দুর্ভোগে দুই উপজেলার মানুষ
আহসানুল ইসলাম আমিন
২৩ মে ২০২৩ ০৩:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের সাথে সিরাজদিখান-শ্রীনগর দুই উপজেলার যোগাযোগের পথ এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সড়ক ও জনপথ। গেলো ১৬ মে থেকে আগামী ১৬জুন পযর্ন্ত তালতালা কুন্ডের বাজার ডহুরী খালের ওপর নির্মিত বেইলি সেতুটি মেরামতের জন্য সব ধরনে যানবাহন চলাচল বন্ধ করেছে কতৃপক্ষ। এতে জেলা সদরের সাথে সিরাজদিখান ও শ্রীনগর দুই উপজেলার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। মুন্সিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে সেতুটি যাচলাচলের জন্য খুবই ঝুকিপূর্ন। তাই সংস্কার কাজের জন্য ১ মাস বন্ধ থাকবে । আগামী ১৬ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, দুইটি ট্রলারের মাধ্যমে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এতে যাত্রীদের কাছ থেকে ৫ টাকা এবং মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য ৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়,জেলা সদরের সঙ্গে সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ সহজ করতে প্রায় দুইযোগ আগে কুন্ডের বাজার তালতলা ডহুরী খালের ওপর ৯৮ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি এই অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে বড় পরিবর্তন আনে। মুন্সীগঞ্জ সদর সঙ্গে সিরাজদীখান ও শ্রীনগর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করে। তাই আলু ও উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতসহ স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে সেতুটি। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এখানে পাকা-প্রশস্ত সেতু নির্মাণ না হওয়ায় নানা সমস্যায় পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। প্রতিদিন এই সড়কে মানুষ যাতায়াত করতে এসে পরছেন মহা বিপদে। এদিকে দই উপজেলা থেকে দুইটি ট্রলার দেওয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট পলাশ মন্ডল বলেন, আমি প্রতিদিন সিরাজদিখান থেকে মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে আমার পেশার কাজ করি, কিন্তু সেতুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্তি প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় । মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. জিসান বলেন, আমি মধ্যপাড়া থেকে বালিগাঁও গিয়ে ব্যবসা করি। প্রতিদিন যাতায়াত আমার মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রতিদিন খাল পারাপারের জন্য ট্রলার যোগে যেতে হয়। ট্রলারে ৩০ আসা-যাওয়া ৩০ টাকা করে ৬০ টাকা দিতে হয় । তারা আসতে ৩০ যেতে ৩০ টাকা করে ৬০ টাকা দিতে হচ্ছে।
ইজিবাইক চালক শফিকুল ইসলাম জানান, এ সড়কে ইজিবাইক চালিয়ে দৈনিক প্রায় ১২০০ টাকা আয় করতাম। কিন্তু এই সেতুর কারণে এখন আর এ রাস্তায় যাত্রী পাওয়া যায় না। বর্তমানে যে অবস্থা তাতে আর গাড়ি জমার টাকাও উঠে না।
মালখানগর ইউপি চেয়ারম্যান সানজিদা আক্তার বলেন, সিরাজদিখান-শ্রীনগর এই দুই উপজেলাবাসীকে জেলা সদরে যেতে এ সেতুটি ব্যবহার করতে হয়। এটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। যে কারণে সংস্কারের কাজ চলছে।আশা করছি দ্রুতই এটি চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
সওজের নির্বাহী প্রকৗশলী দেওয়ান আবুল কাশেম মোহাম্মদ নাহীন রেজা জানান, ‘এই সেতুর মাপে একটি বড় বেইলি তৈরি করা হচ্ছে চট্টগ্রমে, সেটির খন্ড খন্ড অংশ নিয়ে এখানে স্থাপন হচ্ছে। নতুন ভাবে স্থাপন করা বেইলি দিয়ে বাসও চলাচল করতে পারবে। আবার জোড়াতালি দিয়ে চালু করলেও ছিল লক্কড়ঝক্কড়। এতে বিড়ম্বনায় পড়ে মানুষ।
সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম রহমান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সত্ত্বে সচল অবস্থায় সেতুটিতে প্রতিদিন দুই সহস্রাধিক যান চলাচল করে। তিনি জানান, চট্টগ্রামের কারখানায় এই বেইলির বিভিন্ন অংশ তৈরি হচ্ছে। সেই মালামাপল দিয়ে সেতুর সংস্কারের কাজ করে সেতুটি সচল করা হবে । এই জন্য সময় লাগবে এক মাস ।