নিজস্ব প্রতিবেদক:

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তার ও ইটভাটা দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে টেটা যুদ্ধের ঘটনায় ৩জন পুলিশ সদস্য, নারীসহ আহত হয়েছে অন্তত ২৫জন। আজ বৃহস্পতিবার (সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৫টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার মোল্লা কান্দিতে চলে এই সংঘর্ষ। এতে টেটাবিদ্ধ হয় রিফা আক্তার, রাকিব মুন্সী, শহিদ বাউল, মিশু মোল্লা, জাকারিয়া, শাহ আলী, এলাহী মুন্সী,  জামিলা, সাব্বির, মিঠুন বাউলসহ ২০/২৫ জন। এই ঘটনার আটকৃত হলেন হুমায়ুন মুন্সী (৫৫),  মামুন মুন্সী (৩৮) ও আলী আহমেদ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নুর বাউল গ্রুপ ও নাসির মেম্বার গ্রুপের মধ্যে বালুচর বাজার ও ইট ভাটা দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছে। যা সম্প্রতি সিরাজদিখান থানা পুলিশ উভয়পক্ষকে ডেকে নিয়ে মীমাংসা করে দেয়। সেই বিরোকে কেন্দ্র করে আজ সকাল সাড়ে ৫টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে টেটা যুদ্ধ। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষের ইটের আঘাতে সিরাজদিখান থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মুক্তার হোসেনসহ তিনজন পুলিশ সদস্য  আহত হয়।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে শতাধিক টাটা উদ্ধার করা হয়েছে ও ৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। তবে দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গেলে তারা পুলিশের উপর আক্রমণে করে। এতে থানার পুলিশ পরিদর্শক  (তদন্ত) গুরুতর আহতসহ আরো আরো দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এইঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুমন দেব বলেন, গুটি কয়েক মানুষের কারণে এখানে দ্বন্দ্ব হয়। অধিকাংশ মানুষই শান্তি চায়। কয়েকজন আছে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, সমাজের শান্তি নষ্ট করতে চায়। আমরা এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।