প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনী আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

আগামীকাল বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে আজ রোববার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ ধারাবাহিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকার আর্থসামাজিক, আইনশৃঙ্খলা, অবকাঠামো, যোগাযোগ, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতিসাধন করেছে। সরকারের এ সকল উন্নয়ন ও সাফল্যের অন্যতম অংশীদার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে আনসারবাহিনী দেশের জনগণ এবং সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে যাচ্ছে। বৃহৎ ও সুশৃঙ্খল এ বাহিনীর সদস্যদের দেশপ্রেম ও দায়িত্বশীলতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

দায়িত্বপালনকালে বাহিনীর হতাহত সদস্য এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আনসারবাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ বাহিনী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, আনসার সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে অস্ত্রাগারের চল্লিশ হাজার রাইফেল মুক্তিযোদ্ধাদের বিতরণ করে। ’৭১ এর ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আ¤্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানকে ১২ জন সদস্য গার্ড অব অনার প্রদান করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হন ৬৭০ জন আনসার সদস্য। তাদের আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। স্মরণ করছি ভাষা শহিদ আনসার কমান্ডার আব্দুল জব্বারকে।

বাণীতে তিনি আমি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।-খবর বাসসের