05/05/2025 আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাহমুদুল্লাহর যত রেকর্ড
odhikarpatra
১৩ মার্চ ২০২৫ ১৯:৫২
গতকাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ২০০৭ সালের জুলাইয়ে ওয়ানডে দিয়ে অভিষিক্ত বাংলাদেশের ব্যাটিং অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
১৮ বছরের বণার্ঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে ৫০টি টেস্ট, ২৩৯টি ওয়ানডে ও ১৪১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৪৩০ ম্যাচে ১১,০৪৭ রান করেছেন তিনি।
টেস্টে ২৯১৪, ওয়ানডেতে ৫৬৮৯ এবং টি-টোয়েন্টিতে ২৪৪৪ রান আছে মাহমুদুল্লাহর।
এছাড়াও বল হাতে দলের প্রয়োজন মিটিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ। তিন সংস্করণে ১৬৬ উইকেট শিকার করেন তিনি। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে শুধুমাত্র টেস্টে ইনিংসে একবার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন এই অফ-স্পিনার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রেকর্ডের পাতায় অনেক ক্ষেত্রেই জায়গা করে নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ।
টেস্টে আটে নেমে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ। ২০২১ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে আট নম্বরে নেমে ১৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭৮ বলে অপরাজিত ১৫০ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেছেন এই ডান-হাতি ব্যাটার।
সব মিলিয়ে বিশ্বের মধ্যে টেস্টে আট নম্বরে অন্তত দেড়শ রানের ইনিংস খেলেছেন ছয়জন ব্যাটার।
ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে সেঞ্চুরিতে ৩৯তম স্থানে আছেন মাহমুদুল্লাহ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ১৫০ রান করেছিলেন তিনি।
২০০৯ সালে কিংস্টাউনে অভিষেক টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮ উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ। প্রথম ইনিংস ৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেন তিনি। বাংলাদেশের মধ্যে অভিষেক টেস্টের ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া তৃতীয় বোলার মাহমুদুল্লাহ।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে মাহমুদুুল্লাহর। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৭ বছর ২৬২ দিনে বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এই তালিকায় নাম আছে ভারতের সুনীল গাভাস্কার-শচীন টেন্ডুলকার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ ও শ্রীলংকার সনাথ জয়সুরিয়ারা।
বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি চারটি সেঞ্চুরি আছে মাহমুদউল্লাহর। তিন সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে রয়েছেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে সাকিব আল হাসানের পর ১ হাজার রান, ৫০ উইকেট ও ৫০ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড আছে মাহমুদুল্লাহর।
ইমরুল কায়েস ও জাভেদ ওমরের পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ইনিংস পর ডাক মারেন মাহমুদুল্লাহ। ইমরুল ৪৫ ইনিংস ও জাভেদ ওমর ৪০ ইনিংস খেলার পর ডাক মেরেছিলেন। মাহমুদুল্লাহ প্রথম ডাক মারেন ৩৯ ইনিংস পর।
ওয়ানডে বোলিংয়ে কম রানে ৩ উইকেট নেওয়ার তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় মাহমুদুল্লাহ। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১.১ ওভার বল করে ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ। বাংলাদেশের হয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ৭৭টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২শ ছক্কা মারা বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার মাহমুদুল্লাহ। ৪৩০ ম্যাচে ২০৮টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
ফিল্ডার হিসেবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭১টি ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ।
টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ।
ওয়ানডেতে মুশফিকুর রহিমের পর দ্বিতীয় দীর্ঘতম ক্যারিয়ার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। সদ্যই ১৮ বছর ২০২ দিনে ওয়ানডে থেকে অবসর নেন মুশফিক। ১৭ বছর ২১৪ দিনে ওয়ানডেকে বিদায় জানালেন মাহমুদুল্লাহ।