হল খোলার ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি জিয়া হলের ডাইনিং

ইবি প্রতিনিধি:

ঈদের ছুটি শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলসমূহ খুলেছে গত ১৫ জুন। হল খোলার ৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও চালু হয়নি শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিং। ডাইনিং বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ছয় মাস ধরে ভর্তুকি পাচ্ছেনা শহীদ জিয়াউর রহমান হল ডাইনিং ম্যানেজার। এমন পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চালু হচ্ছে না ডাইনিং।

হলের আবাসির শিক্ষার্থী আবু হানিফ বলেন, "হল চালু হওয়ার এক সপ্তাহ পরও শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে মৌলিক প্রয়োজন খাবারের ব্যবস্থা না থাকাটা গভীর অব্যবস্থাপনার প্রমাণ বহন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকশত শিক্ষার্থী বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে হলে অবস্থান করছে, যাদের অনেকেই আর্থিকভাবে স্বল্প-সক্ষম। তাদের পক্ষে প্রতিদিন বাইরে গিয়ে তিন বেলা খাবার সংগ্রহ করা সম্ভব নয়—এটি ব্যয়বহুল, কষ্টসাধ্য ও স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ। অনেক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার না পাওয়ায়। শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিং সাধারণত একমাত্র নির্ভরযোগ্য খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। সেটি বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা এখন চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন পার করছে।"

অন্য এক শিক্ষার্থী শিক্ষার্থীরা বলেন, "ঈদের ছুটি শেষে দীর্ঘ দিন হল খোলার পরেও আমাদের হল ডাইনিং এখনো চালু হয়নি। এটা আমাদের জন্য ভোগান্তির বিষয়। ডাইনিং চালু না হওয়ায় আমাদের অন্য হল বা হোটেলের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়।এটা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। হল প্রশাসন যেন অতি দ্রুত ডাইনিং চালু করার ব্যবস্থা করে।"

এ বিষয়ে ডাইনিং ম্যানেজার বলেন, বিগত ছয় মাস ধরে আমাকে খাবারের ভর্তুকি দেওয়া হয় নি। আমি হল থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা পাবো। এই মুহূর্তে আমার কাছে কোন টাকা নেই। হল প্রশাসন টাকা না দিলে আমি ডাইনিং চালু করতে পারবো না।

হল প্রোভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, "এ বিষয় নিয়ে আমি ভিসি স্যারের সাথে কথা বলেছি। আর ডাইনিং ম্যানেজারকেও বলেছি যে তাদের কাছে যা টাকা আছে তাই নিয়ে ডাইনিং চালু করতে। আমি অফিসে এসে এ বিষয়ে কথা বলবো। আমার ছাত্ররা যদি না খেয়ে থাকে সেটা তাদের জন্য ভালো হবে না।"

মো. সামিউল ইসলাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া