11/29/2025 প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ফ্রান্সের নতুন রাষ্ট্রদূতের অঙ্গীকার
odhikarpatra
২৭ November ২০২৫ ২০:৫১
জাতীয় ডেস্ক, অধিকার পত্র ডটকম
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫
ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু করতে প্রস্তুত—এমন দৃঢ় বার্তা দিয়েছেন নবনিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ-মার্ক সেরে-শারলে। মঙ্গলবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রশ্নে দুই দেশের স্বার্থ গভীরভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা ভবিষ্যতে নতুন মাত্রায় উন্নীত হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, “ঐতিহাসিক জাতীয় নির্বাচনের সামনে দাঁড়ানো এই মুহূর্ত ফ্রান্স–বাংলাদেশ অংশীদারত্বকে আরও এগিয়ে নেওয়ার আদর্শ সময়।”
সেরে-শারলে জানান, ফ্রান্সের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বর্তমানে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রায় ১৫ লাখ ফরাসি নাগরিক বসবাস করেন—যা ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন শতাংশ।
তিনি বলেন,
“ইন্দো-প্যাসিফিক হলো উন্মুক্ততা ও অবাধ চলাচলের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা অঞ্চল। বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ফ্রান্স এখানে আরও গভীরভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার বড় সুযোগ দেখছে।”
আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে সম্পন্ন হবে—এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ইউরোপের দেশগুলোও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা ও সামাজিক বিভাজনের মুখে পড়েছে, তাই বাংলাদেশকেও সতর্ক থাকতে হবে।
সেরে-শারলে বলেন, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে। এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ফ্রান্স আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়।
তার ভাষায়,
“এই উত্তরণ যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, ফ্রান্স সে বিষয়ে সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।”
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি, সংস্কার কার্যক্রম এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
তিনি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশ একটি ঐতিহাসিক জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে অবস্থান করছে।
ইউনূস গণতন্ত্র, মানবাধিকার, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ফ্রান্সের ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।