অধিকারপত্র ডেক্স: দেশে পুষ্টির সক্ষমতা অর্জনে প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে নেদারল্যান্ড।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে এ আশ্বাস দেন নেদারল্যান্ডের কৃষি, প্রকৃতি এবং খাদ্যমান মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল (সচিব পদমর্যাদা) মিজ মারিওলাইন সোনেমা।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশের মৎস্য এবং পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রাইসুল আলম মণ্ডলের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল এ বৈঠকে অংশ নেয়। শুক্রবার (২ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং চাল ও মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ডাচ কৃষি, প্রকৃতি এবং খাদ্যমান মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, উদ্ভাবনাময় এবং টেকসই খামার প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগে বাংলাদেশ শিগগিরই গরু, মুরগি ইত্যাদির মাধ্যমে প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।

বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডের বদ্বীপ ভূপ্রকৃতির প্রতি আলোকপাত করে তিনি গবাদি পশু খাতে নেদারল্যান্ডের টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে সারাবিশ্বে প্রথম সারির দেশ হিসেবে পরিগণিত হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের এ খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তার আশ্বাস দেন।

নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল নেদারল্যান্ডের সমৃদ্ধ জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার প্রশংসা করে বাংলাদেশের গবাদি পশুপালন খাতের বলিষ্ঠ উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা, পরামর্শক সহায়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে নেদারল্যান্ডের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অনুরোধ জানান।

দারিদ্র বিমোচনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ‘একটি বাড়ি একটি খামার’এর প্রতি আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত ডাচদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শক সহায়তার মাধ্যমে উক্ত খাতের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

মৎস্য এবং পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রাইসুল আলম মণ্ডল বাংলাদেশে গবাদি পশুপালন খাতের সম্প্রসারণের চ্যালেঞ্জ সমূহ যেমন, ভূমি স্বল্পতা, সঠিক জ্ঞানের ঘাটতি, প্রযুক্তির অপ্রতুলতা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক উপায়ে যথাযথ গবাদি পশুপালন ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়নে লক্ষ্য অর্জনে তিনি ডাচদের সহায়তার আহ্বান জানান।