05/06/2025 যোগসাজশে বিমানে লুটপাট
Akbar
২৪ মার্চ ২০১৯ ০৯:৩১
ঢাকা: ২০১৪ সালে ৫০ কোটি টাকা অগ্রিম দিয়ে মিসরের ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে করা ওই ভাড়ার চুক্তির শর্ত ছিল—উড়োজাহাজ দুটিতে যাত্রী পরিবহন করা হোক বা না হোক, মাসে ১০ কোটি টাকা ভাড়া দিতে হবে, সব ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বহন করতে হবে, পাঁচ বছরের আগে চুক্তি বাতিল করা যাবে না, লিজের মেয়াদ শেষে উড়োজাহাজ দুটি আগের অবস্থায় ফেরত দিতে হবে।
কিন্তু বিমানবহরে যোগ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই এর একটি বিকল হয়ে ভিয়েতনামের একটি বিমানবন্দরে পড়ে আছে। মেরামতের অর্থ জোগান না দিতে পারায় উড়োজাহাজটি ফেলে রাখা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিশেষ একটি গোষ্ঠীর স্বার্থে এয়ারক্রাফটটি গ্রাউন্ডেড করে প্রতি মাসে ভাড়া প্রদান করে আসছে বিমান।
তৎকালীন বিমানের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড এবং ক্যাপ্টেন শামীম নজরুল চক্রের যোগসাজশে বিমানের ইতিহাসের সবচেয়ে নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটে। কার স্বার্থে বছরে ১২০ কোটি টাকা গচ্চা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর তোপের কোনো জবাব দিতে পারেননি বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ। সংসদীয় উপকমিটির প্রতিবেদনেও বলা হয়, দুটি উড়োজাহাজ ভাড়া করায় সাড়ে তিন বছরে বিমানের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩০৫ কোটি টাকা। উড়োজাহাজ দুটি লিজ আনার চুক্তির সব শর্তই ছিল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে।’
দুর্নীতি ও অনিয়মের আরো ঘটনা
কার্গো হ্যান্ডলিং চুক্তি থাকার পরও টার্কিশ এয়ারের কাছ থেকে আট বছরে ৩৬ কোটি টাকা হ্যান্ডলিং চার্জ আদায় না করার অভিযোগ উঠেছে বিমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। যাদের কারণে এ অর্থ আদায় হয়নি তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিমান কর্তৃপক্ষ। নন-শিডিউল ফ্রেইটারের কাছ থেকে ইনবাউন্ড-আউটবাউন্ড কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ ৭২০ কোটি টাকার ওপরে লুটপাট হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর অনিয়মকারীদের শনাক্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ অনিয়ম চলাকালে কার্গো শাখার শীর্ষ কর্তা সম্প্রতি অবসরে গেলেও অন্য সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ পদে বহাল তবিয়তে আছেন। তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলেও এখনো কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, ‘টার্কিশ এয়ারের ৩৬ কোটি টাকা হ্যান্ডলিং চার্জ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। খুব শিগগির এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘দুদক সম্প্রতি বিমান ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দুর্নীতিসংক্রান্ত যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আমরা দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি করেছি। কমিটি প্রতিবেদন দিলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
গত ২৫ জানুয়ারি বিমানের ‘ড্যাশ-৮ এজিকিউ’ উড়োজাহাজটিকে ভারতের হায়দরাবাদের ‘জিএমআর অ্যারো টেক কম্পানি’তে পাঠানো হয় ‘সি-চেক’ (বড় ধরনের মেরামত) করানোর জন্য। ১৫ দিনে ‘সি-চেক’ শেষ করার কথা থাকলেও সময় লেগেছে প্রায় দেড় মাস। আবার সমস্যা সারানোর বদলে নতুন সমস্যা তৈরি করে এয়ারক্রাফটটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়। গত ৬ মার্চ হায়দরাবাদ থেকে সি-চেক সেরে দেশে আসার পথেই এয়ারক্রাফটটির ইঞ্জিনের ওপরে থাকা ব্ল্যাংকেট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে ইঞ্জিন অস্বাভাবিক উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এবং ইঞ্জিন অয়েল বিপজ্জনক মাত্রায় চলে আসে। এতে আকাশেই বিমানটির দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। ওই ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছে, বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে অনভিজ্ঞ একটি কম্পানিতে উড়োজাহাজটিতে সি-চেক করানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল।
উড়োজাহাজ লিজ ও রক্ষণাবেক্ষণের এসব ঘটনা জানিয়ে দেয়, অসাধু চক্র বাংলাদেশের পতাকাবাহী এই এয়ারলাইনসকে গিলে খাচ্ছে। ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ জন্মের পর বিমান আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বছরের পর বছর লোকসান, অনিয়ম, লুটপাটই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি-চুরির খনি হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি।
সম্প্রতি বিমানের উড়োজাহাজ লিজ নেওয়া, রক্ষণাবেক্ষণ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, টিকিট বিক্রি, কার্গো, আমদানি-রপ্তানি, ক্যাটারিং খাতসহ আটটি খাতে নজিরবিহীন দুর্নীতির উৎস তুলে ধরেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যদিও বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়।
সূত্র জানায়, বর্তমানে বিমানের বহরে উড়োজাহাজ রয়েছে ১৩টি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি বোয়িং ৭৮৭ ‘ড্রিমলাইনার’, চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং তিনটি ড্যাশ-৮কিউ৪০০ উড়োজাহাজ। এর মধ্যে পাঁচটি আনা হয়েছে লিজ চুক্তির আওতায়। এর মধ্যে দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ লিজ নেওয়া হয়েছে জিই ক্যাপিটাল এভিয়েশন সার্ভিসেস থেকে। তিনটি ড্যাশ-৮কিউ৪০০ উড়োজাহাজের মধ্যে দুটি স্মার্ট এভিয়েশন এবং একটি নরডিক এভিয়েশন ক্যাপিটালের (এনএসি) সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি ড্রাই লিজ চুক্তির আওতায়। এর বাইরে আরো দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। কুয়েতভিত্তিক এভিয়েশন লিজ অ্যান্ড ফিন্যান্স কম্পানি (এএলএএফসিও) থেকে দীর্ঘ মেয়াদে ড্রাই লিজে নেওয়া হবে উড়োজাহাজ দুটি। একের পর এক কঠিন শর্তের লিজে উড়োজাহাজ আনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পুরনো। একটি সিন্ডিকেট লিজ বাণিজ্যের সুযোগে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
দুদকের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, ‘উড়োজাহাজ, যন্ত্রাংশ, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং যন্ত্রাংশের বড় অঙ্কের কেনাকাটা এবং বিমান লিজের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়ে থাকে। কম্পিউটার-নেটসর্বস্ব কিছু মধ্যস্বত্বভোগী প্রতিষ্ঠান এসব কেনাকাটায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিমানের সঙ্গে লিয়াজোঁ করার নামে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিচালনা পর্ষদের কিছু সদস্যকে অনৈতিকভাবে যুক্ত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। বড় অঙ্কের অর্থ লগ্নি করে এসব ফার্ম দরপত্রের স্পেসিফিকেশন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এমনভাবে নির্ধারণ করে যাতে পছন্দসই কম্পানি কাজ পায়। প্রাক্কলিত মূল্য প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দেখানোর ব্যবস্থা করে নেয়। ফলে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি দুই থেকে তিন গুণ বেশি দামে কিনতে হয়। বিমানের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বোর্ড ডিরেক্টর এসব ফার্মের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ মালিকানা/লভ্যাংশের অংশীদার।’
ইঞ্জিনের মেজর চেক-সাইকেল, মেয়াদপূর্তি ইত্যাদি হিসাবে না নিয়ে উড়োজাহাজ লিজ নেওয়ার কারণে এর আগে মেয়াদ শেষে হাজার কোটি টাকা দিয়ে নতুন ইঞ্জিন প্রতিস্থাপন করে উড়োজাহাজ ফেরত দিতে হয়েছিল। সুচতুরভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয়, যখন ভালো কম্পানির হাতে লিজ দেওয়ার মতো উড়োজাহাজ থাকে না। বাধ্য হয়ে বেশি দামে অসাধুদের পছন্দের কম্পানি থেকে নিম্নমানের উড়োজাহাজ লিজ নিতে হয়। এসব বিষয়ে প্রতিবছর অভ্যন্তরীণ ও সরকারি নিরীক্ষা দল আপত্তি দিলেও শেষ পর্যন্ত তা অনিষ্পন্নই থেকে যায় বলে জানিয়েছে দুদক।
রক্ষণাবেক্ষণ ও ওভারহলিং খাতে দুর্নীতি নিয়ে দুদক বলেছে, উড়োজাহাজ এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনাকাটায় শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি হয়ে থাকে। বিমানের বোর্ড ডিরেক্টর ও কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য তাঁদের পছন্দসই প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার নিয়োগ করে কার্যাদেশ প্রদান করে থাকেন। নিম্নমানের যন্ত্রাংশ অতি উচ্চ মূল্যে ক্রয় দেখিয়ে ঠিকাদার ও ম্যানুফ্যাকচারার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে টাকা আত্মসাৎ করা হয়। তা ছাড়া বিমান সি-চেকের জন্য তাদের পছন্দসই বিদেশি প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করে অতি উচ্চমূল্যের বিল দেখিয়ে ভাগাভাগির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
দুদকের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুদকের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। মানুষের মধ্যে বিমান সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা আছে এটা তারই প্রতিফলন। শুধু সমস্যা চিহ্নিত করাই নয়, প্রতিকারের ব্যবস্থা করার এখতিয়ারও দুদকের আছে। যারা এসব দুর্নীতিতে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব) মোহাম্মদ ইনামুল বারী বলেন, ‘দুদক মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে, এটি এখনো বোর্ডে আসেনি। এ কারণে আমি এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। এর কপি এলে আমরা বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। তবে অপ্রয়োজনীয়ভাবে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে কাউকে চোর বানাতে আমি রাজি নই।’
ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে লিজের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বিমান চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওই সময়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন। আমরা এখন চুক্তি মানি না, তা-ও বলতে পারছি না। এটা এখন আমাদের গলার কাঁটা।’ রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে দুর্নীতি আগের পারসেপশন, এখনকার নয় বলে তিনি দাবি করেন। বিমান আরো উড়োজাহাজ নিচ্ছে কি না জানতে চাইলে ইনামুল বারী বলেন, আরো দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ লিজে আসছে।
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মুখপাত্র ও মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ এলে কর্তৃপক্ষ তদন্তসাপেক্ষে আইন অনুযায়ী সব সময় ব্যবস্থা নিচ্ছে। নানা অভিযোগে বিমান থেকে অনেকের চাকরি গেছে।’
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার (অব.) হাসান মাসুদ বলেন, ‘আমরা স্বীকার করি আর না করি এটা সত্য, বিমানের জন্ম থেকে উড়োজাহাজ ক্রয়, লিজ, রক্ষণাবেক্ষণ, পার্টস ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতে দুর্নীতির মাধ্যমে বিরাট অঙ্কের টাকা লুটপাট হয়েছে। বিমানের এফ-২৮ ও ডিসি-১০ এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এর খুচরা যন্ত্রাংশের নিলাম দেখতে গিয়ে আমার চোখে পানি এসেছিল। যে এয়ারক্রাফট ফেজ আউট হয়ে গেছে, তার জন্য এত বেশি পার্টস মজুদ রাখা হয়েছিল যে তা অবিশ্বাস্য। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের সম্পূর্ণ নতুন, অব্যবহৃত দামি পার্টস স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করা হয়েছিল মাত্র ৮৬ লাখ টাকায়।’
বিমানের সাবেক এই পাইলট বলেন, বিমানের দুর্নীতিতে জড়িত ব্যবসায়ী চক্রই সৎ কর্মকর্তাদের গায়ে কালিমা দিয়ে চলে যেতে বাধ্য করেন। এদের দমন করতে বিমানে একজন ওয়ান ম্যান আর্মি দরকার, যিনি এর ভেতরের সব কিছু জানবেন। যাঁরা দেশের স্বার্থ বিলীন করে চুক্তি করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ